অর্ণব আইচ: আর জি কর কাণ্ডে কোমর বেঁধে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। পর পর দুদিন জিজ্ঞাসবাদের পর রবিবার ফের মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্য়ক্ষ ডা. সন্দীপ ঘোষকে ফের তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। শুধু সন্দীপ ঘোষ নয়, রবিবার ডাকা হয়েছে তরুণী ডাক্তারের ব্যক্তিগত গাড়ি চালককেও। অন্যদিকে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনা গুজব আটকাতে তৎপর কলকাতা পুলিশও। নির্যাতিতার নাম-পরিচয় প্রকাশের অভিযোগে লকেট চট্টোপাধ্যায়, ডা. কুণাল সরকার-সহ আরও কয়েকজনকে তলব করা হয়েছে লালবাজারে।
সিবিআই সূত্রে খবর, এবার নির্যাতিতা পড়ুয়া ডাক্তারের ব্যক্তিগত চালকের বয়ান রেকর্ড করতে চাইছে সিবিআই। সেই সূত্রে এদিন তাঁকে পাঠানো হয়েছে। তদন্তকারীরা জানতে চায়, তরুণীর সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল কি না। ধৃত সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে তাঁর কোনও শত্রুতা তৈরি হয়েছিল কি না। কেন তরুণী মেডিক্যাল কলেজে আসতে চাইতেন না? আর এর জন্য তরুণী চিকিৎসকের কাছের লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই।
এদিকে ইতিমধ্যে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে গিয়েছে সন্দীপ ঘোষ। তাঁর মোবাইল ফোনটি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, চতুর্থ ব্যাটালিয়নে এক এএসআইয়ের বয়ান রেকর্ড করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, এই পুলিশ কর্ণী সঞ্জয়কে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে তলব করেছে কলকাতা পুলিশ। রবিবার বিকেলে তাঁকে লালবাজারে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি নির্যাতিতার নাম-পরিচয় প্রকাশ করে দিয়েছিলেন। যদিও প্রাক্তন সাংসদের দাবি, “আমি কোনও তলবের চিঠি এখনও হাতে পাইনি। প্রথমে এক বার আমি ভুল করে নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে ফেলেছিলাম। কিন্তু তার পর ভুল বুঝতে পেরে সেই পোস্ট মুছে দিয়েছি।” একই অভিযোগে চিকিৎসক ডা. কুণাল ঘোষ এবং ডা. সুবর্ণ গোস্বামীকেও তলব করা হয়েছে বলে খবর।