সিবিআইয়ের কাছে সন্দীপ ঘোষ এবং কলকাতার সিপির গ্রেপ্তারি দাবি, বিস্ফোরক সুখেন্দুশেখর
প্রতিদিন | ১৮ আগস্ট ২০২৪
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন তিনি। শাসকদলের সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও শামিল হয়েছেন বিক্ষোভে। এবার রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটালেন সুখেন্দুশেখর রায়। সরাসরি আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের গ্রেপ্তারি চেয়ে বসলেন তিনি।
সুখেন্দু শেখরের দাবি, আর জি কর কাণ্ডে বহু প্রশ্নের উত্তর অজানা। যা বলতে পারবেন মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার। তৃণমূল সাংসদ বলছেন, সিবিআইয়ের উচিত এদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা। বস্তুত, শাসকদলের একজন সাংসদ এভাবে সরাসরি কলকাতার পুলিশ কমিশনারের গ্রেপ্তারি চাইছেন, সেটা শাসকদলের জন্য কিছুটা হলেও অস্বস্তিকর।
সুখেন্দুশেখরের প্রশ্ন, “কারা আত্মহত্যার কথা রটিয়েছিল, কেন ৩দিন পরে ঘটনাস্থলে স্নিফার ডগ? কেন দেওয়াল ভাঙা হল? এরকম শতাধিক প্রশ্ন আছে, ২ জনকে হেফাজতে নিক সিবিআই, ওদের মুখ খোলানো দরকার।” সন্দীপ ঘোষ এত প্রভাবশালী হলেন কীভাবে? কার পৃষ্ঠপোষকতায়, সে প্রশ্নেরও উত্তর জানতে চান তৃণমূল সাংসদ।
যদিও সুখেন্দুশেখরের এই দাবির বিরোধিতা করেছেন প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কুণাল ঘোষ। সুখেন্দুশেখরের পোস্টটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ তকমা দিয়ে কুণাল বলেন, “আর জি কর কাণ্ডের বিচার আমিও চাই। কিন্তু পুলিশ কমিশনারের গ্রেপ্তারির দাবির প্রবল বিরোধিতা করছি। তিনি খবর পাওয়ার পর সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। কমিশনার নিজের কাজ করছিলেন। তদন্তও সঠিক পথেই এগোচ্ছিল। আমার সিনিয়র সহকর্মীর এই পোস্ট দুর্ভাগ্যজনক।”