• ফ্ল্যাটে দেদার রেস্তোরাঁ-হুক্কা বার, আইন বদলের ভাবনা পুরসভার
    এই সময় | ১৮ আগস্ট ২০২৪
  • এই সময়: শহরের আনাচে-কানাচে গজিয়ে উঠছে রেস্তোরাঁ ও ফাস্ট ফুডের দোকান। কোথাও আবার চলছে হুক্কা বার। এর সিংহভাগই তৈরি হচ্ছে কোনও না কোনও আবাসিক ফ্ল্যাটে। রেস্তোরাঁর কিচেনের ধোঁয়ায় দমবন্ধ অবস্থা হচ্ছে সেখানকার আবাসিকদের। এ নিয়ে রোজই অভিযোগ জমা পড়ছে পুরসভার কাছে। কলকাতা পুরসভার টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে অনেকে ফোন করে মেয়রের কাছে এ নিয়ে অভিযোগও জানাচ্ছেন।তবে এই সব অভিযোগ পেয়েও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছে না পুরসভা। তার কারণ, আবাসিক ফ্ল্যাটে রেস্তোরাঁ চালানোর ক্ষেত্রে সে রকম কোনও আইনি বিধিনিষেধ না থাকায় পুরসভা কোনও পদক্ষেপ করতে পারছে না। এই সমস্যা মেটাতে পুর আইনে বদল আনার কথা ভাবছে পুরসভা।

    ভবিষ্যতে কোনও আবাসিক ফ্ল্যাটে রেস্তোরাঁ কিংবা খাবারের দোকান করতে গেলে সেখানকার অন্য আবাসিকদের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে। তা না হলে পুরসভা সেই রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেবে। এ প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘কলকাতায় রেস্তোরাঁ এবং ফাস্ট ফুডের দোকান অনেক বেড়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, আবাসিক বাড়ির নীচতলায় কিংবা গ্যারেজের কিছুটা জায়গা দখল করে রাতারাতি খাবারের দোকান তৈরি হয়ে যাচ্ছে। সারা দিন সেখানে রান্নাবান্না চলছে। এতে উপরের ঘরের জানলা দিয়ে ধোঁয়া ঢুকবে, এটাই স্বাভাবিক। তাতে অন্য আবাসিকদের খুব সমস্যা হচ্ছে। এটা বন্ধ করার জন্য অফিসারদের সমস্ত আইনি দিক খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছি। দরকার হলে আইন সংশোধনও করব আমরা।’

    কিছু দিন আগেই টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে যাদবপুরের সেন্ট্রাল রোডের এক বাসিন্দা অভিযোগ জানান, তাঁর ফ্ল্যাটের তলায় খাবারের দোকান থাকায় সারাক্ষণ ঘরের মধ্যে ধোঁয়া ঢুকছে। ফলে তাঁদের পক্ষে ওই ঘরে বসবাস করাই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে পুরসভা এবং পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। আদালতে মামলাও করেছেন। তার পরও সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি।

    এই ঘটনা শোনার পর মেয়র পুরো বিষয়টি সরজমিনে খতিয়ে দেখার জন্য অফিসারদের নির্দেশ দেন। রেস্তোরাঁ মালিককে নোটিস ধরানোর কথাও জানান। কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের এক আধিকারিক জানান, রাস্তার ধারে যে সব আবাসিক বাড়ি তৈরি হচ্ছে তার নীচের তলাটা অনেকে কমার্শিয়াল করিয়ে নিচ্ছেন।

    ফলে সেখানে দোকান করার ক্ষেত্রে কোনও আইনি বাধা থাকে না। পরবর্তী কালে সেখানে কেউ রেস্তোরাঁ খুলছেন। তখনই জটিলতা তৈরি হচ্ছে। যত দিন না আইন পরিবর্তন হচ্ছে, তত দিন এই সমস্যা থেকেই যাবে।
  • Link to this news (এই সময়)