• ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা, সন্দীপকে জেরা, কর্মবিরতি অব্যহত... আরজি করের ৭ বড় আপডেট
    আজ তক | ১৮ আগস্ট ২০২৪
  • কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের একজন মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ চলছে। অপরাধের ১০ দিন পরেও সিবিআইয়ের তদন্তে উল্লেখযোগ্য কোনও অগ্রগতি দেখা যায়নি, যা আন্দোলনকারীদের ক্ষোভ বাডছে।

    সিবিআইয়ের মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা এবং তদন্ত
    রবিবার সিবিআই অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা করবে। যাতে তার মানসিক অবস্থা এবং অপরাধের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (সিএফএসএল) বিশেষজ্ঞদের একটি দল এই পরীক্ষার জন্য কলকাতায় এসেছে। এর মাধ্যমে সিবিআই অপরাধীর মানসিক অবস্থা এবং অপরাধের পেছনের কারণ খুঁজে বের করতে চাইছে।

    প্রাক্তন অধ্যক্ষকে তৃতীয় দিনের মতো জেরা
    রবিবার সিবিআই আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে তৃতীয় দিনের মতো জেরা করেছে। শনিবার প্রায় ১৩ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পরও কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসেনি। এদিকে, হাসপাতালের চারপাশে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ ১৬৩ ধারা জারি করেছে।

    ধর্মঘট অব্যাহত, স্বাস্থ্যসেবায় বিঘ্ন
    রাজ্যজুড়ে রবিবার টানা দশম দিনেও সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। এই ধর্মঘটের ফলে রাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। 

    তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা
    এই ঘটনার জেরে, তৃণমূল সাংসদ এবং বাঙালি অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশের জন্য একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রচনা তার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে নির্যাতিতার নাম উল্লেখ করে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন, যা পরে মুছে দিয়ে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন।

    ভাঙচুর মামলায় আরও ২ গ্রেফতার
    ১৪ আগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় আরও দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৩২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জনতা তখন জোরে জোরে স্লোগান দিচ্ছিল এবং হঠাৎ হাসপাতালের জরুরি ওয়ার্ডে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

    পুলিশের তদন্ত ও এফআইআর
    কলকাতা পুলিশ দুটি পৃথক মামলায় এফআইআর নথিভুক্ত করেছে, যার মধ্যে একটি ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য এবং অন্যটি নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশের জন্য। এই মামলায় বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ আরও দুইজন চিকিৎসককে তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে।

    নির্ভয়ার মায়ের প্রতিক্রিয়া
    এই ঘটনার পর নির্ভয়ার মা আশা দেবী এক ভিডিও বার্তায় বলেন, "অপরাধের ১০ দিন পরেও কোনও অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়নি। হাসপাতালে যেখানে চিকিৎসকরা নিরাপদ নন, সেখানে সাধারণ নারী ও মেয়েদের কী অবস্থা হতে পারে?"

     
  • Link to this news (আজ তক)