গোবিন্দ রায়: গত আট মাস ধরে জেলবন্দি শেখ শাহজাহান। সন্দেশখালি ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি পদে ছিলেন দাপুটে এই নেতা। এবার সেই পদ খোয়ালেন জেলবন্দি ‘সন্দেশখালির বাঘ’। তাঁর বদলে পদে বসানো হল মিজানুর রহমানকে। সন্দেশখালি ২ ব্লকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দিলীপ মল্লিককে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু এবং অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী নিজেদের মতো করে ‘ভালো’ সংগঠক খুঁজে তাঁদের নাম প্রস্তাব করেন। এর পর সেই নামে সম্মতি দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেই ঘোষণা করা হয় সন্দেশখালি ১ এবং ২ ব্লকের নতুন সভাপতিদের নাম।
সন্দেশখালি ১ ব্লকের নতুন সভাপতি মিজানুরের আগে একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। বর্তমানে পঞ্চায়েত সদস্য। অন্যদিকে দিলীপ মল্লিক বর্তমানে সন্দেশখালি ২ ব্লকের জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ। এই বিষয়ে সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, “দিদি সভাপতিদের নামে সম্মতি দেওয়ার পর রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি তাঁদের নামে অনুমোদন দিয়েছেন। সুজিত বসু নতুন ব্লক সভাপতিদের নিয়োগ পত্র দিয়েছেন। সুতরাং সন্দেশখালির দুই ব্লকেই সাংগঠনিক কাজ করতে আমাদের এবার সুবিধা হবে।”
চলতি বছরের শুরু থেকেই রণক্ষেত্রের আকার নিয়েছিল সন্দেশখালি। কখনও শেখ শাহজাহান তো কখনো শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সেখানকার জনতা। মুহূর্তে সেই ঘটনা নজর কেড়ে নেয় গোটা দেশের। ভোটেও তার রেশ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে শাসকদল। বসিরহাট লোকসভা থেকে বিপুল ভোটে তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম জয়লাভ করলেও সন্দেশখালি বিধানসভায় হেরে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। স্বভাবতই এই হারের ফলে যথেষ্টই চাপে রয়েছে শাসক দল। এবার সেখানে সংগঠন ঢেলে সাজাতে বিতর্কিত শাহজাহানকে সরাল দল।