নন্দন দত্ত, সিউড়ি: তাঁর কনভয়ের ধাক্কায় জখম মহিলা। আর তাঁকে ফেলেই সদলবলে চলে গেলেন দিলীপ ঘোষ! রবিবার সকালে এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল বীরভূমের সিউড়ির কড়িধ্যা গ্রামে। জখম মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি না করিয়ে দিলীপ ঘোষ যেমন অবহেলা করে চলে গিয়েছেন বলে অভিযোগ, তাতেই ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতিবাদে সিউড়ি-বক্রেশ্বর পথ অবরোধ (Road Block) করেন তাঁরা। বিজেপি নেতার উদ্দেশে সকলেই ক্ষোভপ্রকাশ করছেন। যদিও এই দুর্ঘটনা নিয়ে দিলীপের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি এখনও।
রবিবার বক্রেশ্বরে পুজো দিয়ে বীরভূমের আমোদপুরে যাচ্ছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সঙ্গে ছিল নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়ি ও কনভয়। কড়িধ্যা গ্রামের হাটতলার কাছে এক মহিলাকে ধাক্কা মারে। তাঁর কোমরে, পায়ে চোট লাগে। কিন্তু তাঁকে ফেলেই নিজের রাস্তায় চলে যান দিলীপ ঘোষ। তাতেই স্থানীয়দের ক্ষোভ আছড়ে পড়ে তাঁর উপর। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, মহিলার কোনও দোষ ছিল না। তিনি রাস্তার ধার দিয়েই যাচ্ছিলেন। কিন্তু দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীর গাড়ি খুব গতিতে (Speed) যাচ্ছিল। গতির কারণেই মহিলাকে ধাক্কা মেরে বেরিয়ে যায়। আরেকজনের দাবি, মহিলার পায়ে, হাতে, কোমরে চোট লাগে। পথচলতি মানুষজন তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দু, একজনের দাবি, দুর্ঘটনা (Accident) ঘটতেই পারে। কিন্তু তার পর গাড়ি থেকে নেমে খোঁজখবর না নিয়ে যেভাবে দিলীপ ঘোষ নিজের রাস্তায় চলে গেলেন, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। তাঁর মতো জননেতার কাছে এটা আশা করা যায় না। আবার কারও কারও কটাক্ষ, বিজেপি (BJP) নেতারা এভাবেই জনতাকে উপেক্ষা করেন, এটাই তাঁদের অভ্যাস। দুর্ঘটনার জেরে কড়িধ্যা গ্রামে সিউড়ি-বক্রেশ্বরে পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।