তরুণীকে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদ, ৫ ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ বর্ধমানে
এই সময় | ১৮ আগস্ট ২০২৪
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ চলছে সারা রাজ্য জুড়ে। এর মাঝেই এই তরুণীকে গলা কেটে নৃশংস খুনের অভিযোগ ওঠে বর্ধমান জেলায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ঘটনার প্রতিবাদে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করল আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। ব্যাহত হয় যান চলাচল পরিষেবা। প্রায় ৫ ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেন আদিবাসীরা।বর্ধমানের নান্দুর ঝাপান তলায় আদিবাসী ছাত্রীকে গলার নলি কেটে নৃশংস ভাবে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে এদিন অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধে সামিল হয় আদিবাসী সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল। ১৯ নং নম্বর জাতীয় সড়কের কাঁন্দোরসোনা এলাকায় তীর-ধনুক, লাঠি, বল্লম নিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা। এদিন পুলিশকে ১০ দিনের সময়সীমা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আততায়ীকে গ্রেপ্তার করতে হবে। এই শর্তে টানা ৫ ঘণ্টা পর জাতীয় সড়কের অবরোধ তুলল আদিবাসীরা।
গত বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে সবজির ক্ষেত থেকে গলার নলি কাটা অবস্থায় এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা বিভাগের ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা হাঁসদা (২৫)-র রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তারপর থেকে ৪ দিন কেটে গেলেও এখনও অধরা আততায়ী। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে আদিবাসী সংগঠন। আততায়ীকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতেই এদিন জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়।
এর আগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে পূর্ব জেলা পুলিশ। ওই তরুণীকে ধর্ষণ বা তার সঙ্গে কোনও যৌন নির্যাতন হয়নি বলে জানিয়েছিলেন জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ। তিনি জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্টে এই ধর্ষণের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ওই তরুণীর মৃতদেহের কাছে থাকা মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রও এখনও উদ্ধার হয়নি। পুলিশের ধারণা, আততায়ী তরুণীর পূর্ব পরিচিত ছিল। ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা না হলেও শীঘ্রই দুষ্কৃতীকে ধরার ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল পুলিশের তরফে।