ছোটদের ডেঙ্গিতে বিশেষ সতর্কর্বার্তা স্বাস্থ্য দপ্তরের
এই সময় | ১৮ আগস্ট ২০২৪
রাজ্যে গত বছর ডেঙ্গিতে যাদের মৃত্যু হয়েছিল, তাদের বড় অংশেরই বয়স ৫-১৫ বছরের মধ্যে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই বয়সীরা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে সঠিক চিকিৎসা না পেলে প্রাণহানির আশঙ্কা প্রবল। অল্পবয়সীদের কথা মাথায় রেখে এ বার সরকারি হাসপাতাল, পুর ক্লিনিকগুলিকে বিশেষ গাইডলাইন পাঠাল স্বাস্থ্যভবন।সেই সঙ্গে পুরসভাগুলিকে কমবয়সীদের উপরে বাড়তি নজর রাখার কথাও বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, ‘ডেঙ্গি হলেও যাতে ছোটদের কোনও ক্ষতি না হয় সে জন্যেই এ বার বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকদের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকেও এ জন্যে বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গি চিকিৎসার পরিকাঠামো ও এই রোগ নিয়ে সতর্কতামূলক প্রচার চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে সব জেলা প্রশাসনকে। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, চলতি বছরের শুরু থেকে কলকাতা এবং লাগোয়া জেলাগুলিতেই আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এই পরিস্থিতিতে একটি গাইডলাইন রাজ্যের সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে পাঠানো হয়েছে। এবং তা শিশুরোগ-বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ওই গাইডলাইনে বলা হয়েছে, জ্বর নিয়ে কোনও শিশু হাসপাতালে এলে এবং তার দু’দিনের বেশি জ্বর থাকলে ডেঙ্গি পরীক্ষা করাতে হবে। সেই সঙ্গে পেটে ব্যথা থাকলেও টেস্ট করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গির রিপোর্ট যাদের পজিটিভ আসবে তাদের প্যারাসিটামল দিতে হবে। জ্বরের বাইরে আর কোনও ইনফেকশন না হলে অ্যাসপিরিন বা অ্যান্টিবায়োটিক না দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
পাশাপাশি, আক্রান্তদের জল, ফলের রস, ওআরএস বেশি করে খাওয়াতে হবে। কোনও ভাবেই যাতে ঠান্ডা না লাগে, সে দিকে নজর রাখতে হবে। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বিশ্বাসের বক্তব্য, ‘ডেঙ্গিতে প্যারাসিটামলই প্রধান ওষুধ। এর বাইরে সে ভাবে কোনও ওষুধের প্রয়োজন পড়ে না। তবে তরল খাবার বেশি করে খাওয়ানো অবশ্যই উচিত। কারণ, শরীরে এই সময়ে তরলের অভাব হলে নানা সমস্যা দেখা যায়।’
সব জেলায় হাসপাতালে সম্ভাব্য ডেঙ্গি আক্রান্তদের জন্যে পর্যাপ্ত বেড রাখার কথাও বলা হয়েছে, বিশেষত যাতে ছোটদের বেডের সমস্যা না হয়। একই সঙ্গে সব জেলার প্রশাসনকে ডেঙ্গির উপসর্গ কী এবং দু’দিনের বেশি জ্বর থাকলেই যাতে ডেঙ্গি টেস্ট অবশ্যই করেন প্রত্যেকে--সে নিয়ে লাগাতার প্রচার চালাতে বলা হয়েছে।