শ্মশানে আমার মেয়ের বডির আগে ৩টে বডি ছিল…, বিস্ফোরক দাবি করলেন নির্যাতিতার বাবা
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ আগস্ট ২০২৪
আরজি কর মেডিক্যালে মহিলা চিকিৎকের নৃশংস খুন ও ধর্ষণের মামলায় কেটে গিয়েছে ৯ দিন। আর রবিবার যখন ওই ঘটনার প্রতিবাদে গোটা রাজ্য উত্তাল তখন বিস্ফোরক দাবি করলেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, গত ৯ অগাস্ট রাতে শ্মশানে তাঁর মেয়ের দেহ দাহ করতে পুলিশের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সেখানে দাহকার্যের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন আরও ৩ জন মৃতের পরিজনরা। তাদের দাঁড় করিয়ে প্রভাব খাটিয়ে আগে নির্যাতিতার দেহ দাহ করে পুলিশ।
পড়তে থাকুন - ‘এত ইস্যু হল’, চাপে পড়ে মমতার নির্দেশে ৪২ ডাক্তারের বদলির নির্দেশ বাতিল রাজ্যের
গত ৯ অগাস্ট সন্ধ্যায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিহত চিকিৎসকের দেহ লুঠের অভিযোগ করেন সন্তানহারা বাবা - মা। আরজি কর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের শেষে দেহ দখল করে নেয় কলকাতা পুলিশ। এর পর বাবা - মাকে কিছু না জানিয়েই বিশাল কনভয় করে সোদপুরের বাড়ির দিকে দেহ নিয়ে রওনা হয়ে যায় তারা। সেকথা জানতে পেরে পিছন পিছন বাড়িতে পৌঁছন নিহত চিকিৎসকের বাবা - মা।
কন্যাহারা পিতার অভিযোগ, শ্মশানে পৌঁছে গিয়ে আমরা দেখি, আমাদের আগে তিনটে বডি রয়েছে। কিন্তু পুলিশ আধিকারিকরা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে আমার মেয়ের দেহ আগে সৎকার করে দেয়। তখন আমরা কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলাম না। মাথা কাজ করছিল না। ফলে সৎকারে বাধা দেওয়ার কথা মাথায় আসেনি।
নির্যাতিতার মা আগেই জানিয়েছেন, বুধবার মেয়ে বাড়ি থেকে বেরনোর পর থেকে তাকে আর দেখতে পাননি তাঁরা। মেয়ের দেহ কিছুক্ষণের জন্যও কাছে পাননি তাঁরা। নির্যাতিতার বাবার বক্তব্যে প্রশ্ন উঠছে, কেন দেহ দাহ করতে এত তৎপর ছিল পুলিশ? কিছু কি লুকানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের?
কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষিতার দেহ দখল করার অভিযোগ নতুন নয়, এর আগে মধ্যমগ্রামের এক নির্যাতিতা নাবালিকার দেহ দখল করে দাহ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে।