• 'মমতা প্রতিবাদটা বন্ধ করার চেষ্টা করছেন' বিস্ফোরক আরজি করে খুন হওয়া চিকিৎসকের মা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি করের সেমিনার হলের ভেতর ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল মহিলা চিকিৎসককে। গোটা দেশ শিউরে উঠেছে। দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড়। কিন্তু কী বলছেন সেই চিকিৎসকের মা? 

    সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মৃত চিকিৎসকের মা জানিয়েছেন, 

    ‘প্রথমে হাসপাতাল থেকে ফোন করা হয়েছিল। বলেছিল আমরা আরজি কর হাসপাতাল থেকে বলছি। আপনার মেয়ে অসুস্থ। এটুকু বলে লাইন কেটে দিয়েছেন। এরপর আমি ফোন করি। বলি আমার মেয়ের কী হয়েছে? তো উনি বলেন আমি তো ডাক্তার নই। ডাক্তারই বলবেন কী হয়েছে। আমরা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছি। ডাক্তারই বলবেন কী হয়েছে। আপনারা আসুন। তখন আমরা ড্রাইভারকে নিয়ে যখন যাচ্ছি তখন উনি আবার ফোন করলেন। তখন উনি বললেন , আপনারা কী আসছেন? আমি অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার বলছি। আপনার মেয়ে সুইসাইড করেছে।’ 

    ‘শুক্রবার ১০টা ৫৩ মিনিটে তিনি একথা বলেছিলেন। তখনই ফোন এসেছিল। আমরা সাথে সাথে পৌঁছই। গাড়ি নিয়ে যেতে যতক্ষণ লাগে। আমাদের বসিয়ে রেখেছিল। দেখতে দেয়নি। বসে রয়েছি। ৩টের সময় দেখতে দিয়েছিল।’ 

    ‘হ্যাঁ আমরা দেহ দেখেছিলাম।’

    ‘প্যান্টটা  খোলা ছিল, ফেলা ছিল। গায়ে শুধু একটা জামা ছিল। চাদর দিয়ে ঢাকা ছিল। হাতটা এরকম ভাঙা ছিল। চোখ দিয়ে রক্ত পড়ছিল। মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছিল। ’

    'কী করে বলব যে ওখানেই হয়েছে? '

    'সেমিনার হলেই দেখেছিলাম মেয়েকে। '

    'না আমি বলেছি, আমার মেয়ের এই অবস্থা দেখে কেউ বলবে না যে সুইসাইড করেছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে কেউ খুন করে ফেলেছে। আমি বলেছিলাম, আমার মেয়েকে অনেক কষ্ট করে ডাক্তার বানিয়েছিলাম। এরা আমার মেয়েকে খুন করেছে। 

    'না, মানসিক একটা প্রেসার ছিল। কিন্তু কোনও দিন এমন কিছু বলেনি। 

    না আমায় কিছু বলেননি। '

    ‘বলেছিলেন যে আপনার বাড়ি যাব, সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে, দোষীদের ধরে ফেলব। কিছুই তো হল না। কেউ ধরা পড়ল। বা কোনও ক্লু পেল।  ’

    ‘ওকে তো কিছু মনেই করছি না। ভেতরের লোক না থাকলে কীভাবে জানল যে আমার মেয়ে ওখানে আছে।’ 

    আমার মনে হচ্ছে পুরো ডিপার্টমেন্ট দায়ী। আশাতেই বাঁচব। সিবিআই নিয়ে। আমাদের সব হারিয়ে গিয়েছে। '

    সেই প্রশ্নের উত্তরে মৃত চিকিৎসকের মা বলে, একটুও ভালো কাজ করেনি। আমাদের সিএম প্রতিবাদটা বন্ধ করার চেষ্টা করছেন। আমার মনে হচ্ছে। আজকে ১৪৪ ধারা জারি করেছে যাতে মানুষ প্রতিবাদটা না করতে পারে মানুষ। 

    উনি কোনও সহযোগিতা করেননি। বরং কেসটা যাতে তাড়াতাড়ি মিটিয়ে দেওয়া যায় সেই চেষ্টাই করছিলেন। তাড়াতাড়ি পোস্টমর্টেম, তাড়াতাড়ি বডি পুড়িয়ে দেওয়া….
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)