• 'আমিও চাই…', কমিশনারের গ্রেফতারি চেয়ে সুখেন্দুর পোস্ট নিয়ে এবার মুখ খুললেন কুণাল
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ আগস্ট ২০২৪
  • কলকাতার পুলিশ কমিশনারের গ্রেফতারি চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। সেই পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে এবার পালটা পোস্ট করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কুণালবাবু এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'আমিও আরজি কর মামলায় বিচার চাই। তবে পুলিশ কমিশনারকে নিয়ে করা এই মন্তব্যের তীব্র ভাষায় সমালোচনা করছি আমি। এই মামলার বিষয়ে জানতে পেরে তিনি নিজের সর্বস্ব দিয়েছেন। ব্যক্তিগত ভাবে পুলিশ কমিশনার নিজের কাজ করে গিয়েছেন এবং তদন্তকে ইতিবাচক দিকেই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। এই ধরনের পোস্ট খুবই দুর্ভাগ্যজনক, তাও আমার দলের এমন এক সিনিয়র নেতার থেকে।'

    এর আগে গতকাল গভীর রাতে সুখেন্দুশেখর রায় সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, 'সিবিআইকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে হবে। প্রাক্তন প্রিন্সিপাল ও পুলিশ কমিশনারের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। কে এবং কেন আত্মহত্যার গল্প ভাসিয়েছিল তা জানা আবশ্যক। কেন হলের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলা হল, কারা এই সঞ্জয় রায়কে এত শক্তিশালী হতে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল, কেন ৩ দিন পরে স্নিফার কুকুর ব্যবহার করা হয়েছিল। তাদের মুখ খোলন।'

    উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। তারপর নাগরিক সমাজ রাতের দখল নিতে রাস্তায় নেমেছিল। সেই সময় সরাসরি এই কর্মসূচির বিরুদ্ধে মুখ না খুললেও তৃণমূল কংগ্রেস বুঝিয়ে দেয় যে তারা মনে করছে, এই আন্দোলন আদতে বিরোধীদের মদতে সরকারের বিরুদ্ধে করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন নেতা নানান মন্তব্য করেছিলেন। পরে ১৪ তারিখ সন্ধ্যায় মমতা খোদ বাম-রামকে তোপ দেগেছিলেন। যদিও সেদিন সুখেন্দুশেখর রায় 'রাত দখলের' কর্মসূচিকে সমর্থন করে বলেছিলেন, 'আমি মেয়ের বাবা। নাতনির দাদু হিসেবে এই প্রতিবাদে সামিল হব।'

    পরে নারী নিরাপত্তা ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছিলেন সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁর আবেদন ছিল, এই সব ক্ষেত্রে আইন আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন। নিজের চিঠিতে সুখেন্দুশেখর লিখেছিলেন, 'এটাই সঠিক সময় কঠোর কেন্দ্রীয় আইন আনার পক্ষে। এই আইন আনতে শীতকালীন অধিবেশনেই এই সংক্রান্ত বিল আনা হোক। বাস, ট্রাম থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের সুরক্ষা বাড়াতে হবে। সিসিটিভি থেকে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষীদের সংখ্যাও বাড়ানো হোক। দেশের প্রতি জেলায় তিনটি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠন করা হোক। ধর্ষণ করে খুনের মতো অভিযোগ নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ যাতে করা যায়।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)