আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণ নিয়ে গণরোষের পিছনে গুজবকেই দায়ী করছে পুলিশ। আর গুজব ছড়ানো বন্ধ করার নামে একের পর এক খ্যতনামা ব্যক্তিকে লালবাজারে ডেকে পাঠাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। চিকিৎসক, রেডিও জকি থেকে রাজনীতিবিদ। বাদ যাচ্ছেন না কেউ। এবার লালবাজারে ডাক পড়ল বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভিত্তিহীন’ পোস্ট করায় তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
পড়তে থাকুন - ‘এত ইস্যু হল’, চাপে পড়ে মমতার নির্দেশে ৪২ ডাক্তারের বদলির নির্দেশ বাতিল রাজ্যের
বিজেপি সূত্রে খবর, রবিবার বেলা ৩টেয় লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছে লকেটকে। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তাঁর একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে তলব বলে জানা গিয়েছে। ন্যায় সংহিতার ৩৫ নম্বর ধারায় তাঁকে তলব করেছে কলকাতা পুলিশ। ওই পোস্টে উল্লেখ করা তথ্য লকেট কোথা থেকে পেয়েছেন তা জানতে চাইতে পারেন তদন্তকারীরা।
লালবাজারের নোটিশ পেয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করলে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। পুলিশ অপরাধীকে ধরতে পারে না কিন্তু নোটিশ পাঠিয়ে সাধারণ মানুষদের হেনস্থা করে। রাজনৈতিক নেতাদের মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা করে।
পুলিশের দাবি, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার জেরে গণবিক্ষোভের জন্য দায়ী সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া নানা গুজব। ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে গুজবগুলি। তার জেরেই পথে নামছে সাধারণ মানুষ।
প্রশ্ন উঠছে, আরজি কর মেডিক্যালে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পরে তার পরিবারকে ‘মেয়ে আত্মহত্যা করেছিল’ বলে খবর দেওয়া হয়েছিল তা তো মিথ্যে নয়। সন্দীপ ঘোষ সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেও সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণ না করে তাঁকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ করা হয়েছিল তা-ও মিথ্যা নয়। একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসাবে নিজের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলেও কেন সন্দীপবাবুকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি প্রতিষ্ঠানে সমমর্যাদার পদে বসিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল সে প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্টও। কলকাতা পুলিশের তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্টও। সর্বোপরি, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় কার মদতে এত ক্ষমতাশালী হয়ে উঠল যে সে পুলিশ ব্যারাকে বসবাস করত? সেই প্রশ্নেরও জবাব দিতে হবে কলকাতা পুলিশকেই।