• সন্দীপ ঘোষের সদস্যপদ কেড়ে নিল চিকিৎসকদের সংগঠন,৩০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়েছেন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ সেন। ওই ঘটনার আগে ও পরে তাঁর ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলছেন চিকিৎসকরাই। এরই মধ্যে সন্দীপবাবুর সদস্যপদ সাময়িক খারিজ করল পশ্চিমবঙ্গ অর্থোপেডিক অ্যাসোসিয়েশন। অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞদের এই সংগঠন চিকিৎসদদের কল্যাণে ও পড়ুয়াদের পঠনপাঠনে নানা ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে। শনিবার সংগঠনের তরফে সন্দীপবাবুকে চিঠি দিয়ে একথা জানিয়েছেন WBOAর সভাপতি অমিয়কুমার বেরা।

    চিঠিতে লেখা হয়েছে, গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যালে খুন ও ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতে গত ১৬ অগাস্ট কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে বৈঠকে বসেছিলেন সংগঠনের কর্তারা। হাসপাতালের ছাত্র ও PGTদের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব অধ্যক্ষের। সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত করছে। যতদিন না এই মামলার ফয়সলা হচ্ছে আপনি WBOAর নাম ব্যবহার করে কোনও শিক্ষা সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকতে পারবেন না। একই সঙ্গে কেন এই ঘটনা ঘটল তা ৩০ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিয়ে জানাতে হবে আপনাকে।

    আরজি কর মেডিক্যালের ঘটনার তদন্তের নেমে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে লাগাতার জেরা করছে সিবিআই। শুক্রবার তলব করলেও সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেননি সন্দীপবাবু। শুক্রবার তাঁকে কার্যত রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা। এর পর শনিবারও সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেন তিনি। দু’দিনে তাঁকে ২১ ঘণ্টা জেরা করেছে সিবিআই। রবিবারও তাঁকে জেরা করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

    আরজি কর মেডিক্যালের ঘটনার পর প্রবল চাপের মুখে সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দেন সন্দীপবাবু। সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণ না করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ নিয়োগ করে স্বাস্থ্য ভবন। যদিও ছাত্র বিক্ষোভের জেরে সেখানে যোগদান করতে পারেননি তিনি। এর পর সন্দীপবাবুর নতুন পদে যোগদানে অনির্দিষ্টকালীন স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট.
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)