‘নৃশংস অত্যাচার!’ নন্দীগ্রামে নির্যাতিতা মহিলার পাশে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল
এই সময় | ১৯ আগস্ট ২০২৪
নন্দীগ্রামে এক মহিলাকে মারধর, বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানোর অভিযোগ। নির্যাতিতা মহিলা ও তাঁর স্বামী তৃণমূল দল করেন বলেই তাঁর উপর এই অত্যাচার করা হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। নির্যাতিতাকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হয়। রবিবার নির্যাতিতা মহিলার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল।এদিন নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে দেখা করার পর দোষীদের শাস্তির দাবিতে হাসপাতাল থেকে নন্দীগ্রাম থানা পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। পরে প্রতিনিধি দল আইসি অনুপ মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করে। তাঁরা জানান, এই ঘটনার সঙ্গে যারা যারা যুক্ত তাদের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আক্রান্ত পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। ঘটনায় মোট সাত জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হলেও আক্রান্তের পরিবারের অভিযোগ এই ঘটনায় আরও অনেকে যুক্ত রয়েছে। তাদেরও গ্রেপ্তার করে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘নন্দীগ্রামের নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করলাম। ঘটনায় যুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এখানে ডবল ইঞ্জিন রয়েছে। তাঁরা কোথায়? আমি তাঁদের উদ্দেশে বলছি, বড় বড় কথা না বলে সাহস থাকলে কলকাতায় এসে স্থানীয় বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ও সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দেখা করুক। তাহলেই বুঝব কথার দাম রয়েছে।’
তৃণমূলের প্রতিনিধি দলে ছিলেন কুণাল ঘোষ, রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, মমতা বালা ঠাকুর, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, সাংসদ সায়নী ঘোষস সহ শিউলি সাহা, উত্তরা সিং, দেবাংশু ভট্টাচার্য। এদিন সাংসদ দোলা সেন ও সায়নী ঘোষরা জানান, আমরা আরজি করের ঘটনা ধামাচাপা দিতে এখানে আসিনি। আমাদের নেত্রী ও আমরাও চাই ঘটনায় যুক্ত ব্যক্তিদের কড়া শাস্তি হোক। যারা আরজি কর ঘটনা নিয়ে এত প্রতিবাদ করছে, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করছে, তারাই আবার মহিলাকে নগ্ন করে মারধর করে বেড়ায়। এখানে কোনও প্রতিবাদ হবে না? আমরা যেখানেই মহিলারা নির্যাতিত হয় সেখানেই তাদের পাশে দাঁড়াই। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে নন্দীগ্রামে এই ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল ও সভা হবে বলে জানান তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেত্রী সাংসদ সায়নী ঘোষ।