অর্ণব দাস, বারাকপুর: আর জি কর কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এখনও পর্যন্ত সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, চেস্ট বিভাগের কয়েকজন, একাধীক সহকর্মী, মৃতার ড্রাইভার-সহ ৬০জনের বেশি সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে গ্রেপ্তার হয়নি একজনও। আর এই গোটা বিষয়টায় হতাশ মৃতার পরিবার। তাঁদের কথায়, “সিবিআইয়ের তদন্ত বিচারাধীন বিষয়। তাই জিজ্ঞাসাবাদ, গ্রেপ্তার নিয়ে কিছু বলতে পারব না। কিন্তু সিবিআইয়ের তদন্তও তো কয়েকদিন হয়ে গেল। কিন্তু এখন কিছুই হয়নি, এটা নিয়ে একটু হতাশা তো আমাদের থাকবেই। তবুও সিবিআইয়ের উপর আমাদের আস্থা রাখতেই হবে।”
এদিনও আর জি করের চেস্ট ডিপার্টমেন্টকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান মৃতার মা। তিনি এদিনও ফের বলেন, “পুরো চেষ্টা ডিপার্টমেন্টকেই আমরা দায়ী করেছি। মেয়েকে প্রচণ্ড চাপে রাখত। জ্বর হলেও ছুটি দিত না। রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তখনও ছুটি দেয়নি। তবুও ও সবসময়ই এগুলো এড়িয়ে চলত।” এর পরই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, মেয়ে আমাদের বলত, সে যে আর জি করে আছে সেটা পরিচিত কাউকে বলতে না। কারণ সেখানে চিকিৎসা নিতে যাওয়া পরিচিত কারও জন্যই মেয়ে কিছু করতে পারবে না। বরং মেয়েকে ফেল করিয়ে দেওয়া হতে পারে বলেও পরিবারের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বলেও জানান তিনি।
একইসঙ্গে হাসপাতালের দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্নমহলে হওয়া আলোচনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তার সংযোজন, “এমডিতে গোল্ড মডেল পেতে হবে, এটাই মেয়ের লক্ষ্য ছিল। তাই ফেল করিয়ে দেওয়া নিয়ে মেয়েকে একটা ভয় ছিল। কেন এমনটা সেটা এখন সকলেই বুঝতে পারছে, হাসপাতালে দুর্নীতির ঘটনাও শোনা যাচ্ছে। সবটাই তদন্ত সাপেক্ষ।” এর পরই মেয়ের ন্যয়বিচারের দাবিতে রাজ্য তথা দেশ জুড়ে চলা আন্দোলনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মৃতার বাবা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হন।