• রঘুনাথ মাহাতর মূর্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা, ক্ষোভ ঝাড়গ্রামে
    বর্তমান | ১৯ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্ৰামে চুয়াড় বিদ্রোহের নায়ক রঘুনাথ মাহতর পূর্ণাঙ্গ মূর্তি বসানোকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ‘রঘুনাথ মাহাত স্মৃতি রক্ষা কমিটি’-র উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার চার নম্বর সাপধরা পঞ্চায়েতের শিমূল পাল মোড়ে মূর্তি বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। বনদপ্তর সরকারি জায়গায় মূর্তি বসানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। প্রশাসনের নির্দেশে স্থগিত হয়ে যায় মূর্তি স্থাপনের অনুষ্ঠান। এইভাবে মহান স্বাধীনতা সংগ্ৰামীর মূর্তি বসানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় সর্বস্তরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

    চুয়াড় বিদ্রোহের মহানায়ক হিসেবে পরিচিত রঘুনাথ মাহত। জঙ্গলমহলের মানুষ তাঁকে আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। সেই মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর মূর্তি বসানোর উপর প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা জারি প্রসঙ্গে সংগঠনের তরফে বলা হয়, ঝাড়গ্ৰামে একের পর এক সরকারি জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে, সেখানে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে, অথচ মহান এক যোদ্ধার মূর্তি স্থাপনের জন্য তিন ফুট জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। বনদপ্তর অতি সক্রিয়তা দেখাচ্ছে। সংগঠনের অন্যতম সদস্য ডঃ কণিকা মাহাত বলেন, রঘুনাথ মাহাত নিয়ে এই এলাকার মানুষের আবেগ জড়িয়ে। বনদপ্তর গত ১৩ আগস্ট কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়। আমাদের একটাই বক্তব্য, একজন স্বাধীনতা সংগ্ৰামীর মূর্তি বসানো বন্ধ করতে বনদপ্তর যে সক্রিয়তা দেখাচ্ছে, তার খানিকটা দেখালে সরকারি জায়গা বেদখল বন্ধ করতে পারত। কিন্তু তখন প্রশাসন চোখ বুজে থাকছে। বনদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ১৯৮০ সালের ফরেস্ট কনজারভেশন আইন অনুযায়ী মূর্তি বসানোর জন্য অনলাইন আবেদন করলে অনেক সময় অনুমোদন দেওয়া হয়। সাধারণ মানুষের আবেগের বিষয়টি মাথায় রাখা হয়। এক্ষেত্রে ওই সংগঠনের তরফে অনলাইন আবেদন করা হয়নি। সেইজন্য নোটিস দিয়ে মুর্তি বসানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বনদপ্তরের জমি বেআইনিভাবে দখল করা হলে নিয়ম মেনে পদক্ষেপ করা হয়। ঝাড়গ্ৰামের ডিএফও উমর ইমাম বলেন, মূর্তি বসানোর জন্য নিয়ম মেনে অনলাইন আবেদন করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)