• কাটোয়া হাসপাতালে বন্ধ ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান, চিন্তায় গরিব মানুষ
    বর্তমান | ১৯ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাটোয়া: রাজ্যের বহু হাসপাতালেই ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান বন্ধ কয়েকদিন ধরে। পুরানো চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে, তাই নতুন করে ওষুধের দোকানগুলি চালু করা যায়নি। ফলে বিপাকে পড়েছে আমজনতা। 

    কাটোয়া মহকুমা স্বাস্থ্যদপ্তরের এসিএমওএইচ তথা কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার বিপ্লব মণ্ডল বলেন, ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান রাজ্যের বেশ কয়েকটি হাসপাতালে কয়েকদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। কারণ পুরানো চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে। নতুন করে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। যারা বরাত পেয়েছেন তাঁরা এখনও দ্বায়িত্বভার বুঝে নেননি। তবে আশাকরি দ্রুত ফের চালু হয়ে যাবে। 

    ২০১২ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বহু হাসপাতালে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান চালু করেন। সেইসব দোকানে মূল্যের উপর ৬৭ শতাংশ ছাড় দিয়ে ওষুধ বিক্রি করা হয়। গরিব মানুষদের ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছিল ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান। কিন্তু ১৪ আগস্ট থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল, বাঁকুড়া সহ বহু হাসপাতালেই দোকানগুলি বন্ধ হয়ে যায়। ওইদিনই ছিল চুক্তির মেয়াদের শেষদিন। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান চালু হয়। সারারাত ওষুধ মিলত। বর্ধমানের এক সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু সেই চুক্তি শেষ হয়েছে৷ নতুন দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থা এখনও চালু করেনি। 

    এমনিতেই কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের উপর পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি জেলার একাংশ নির্ভরশীল। ধীরে ধীরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নত হচ্ছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগীর চাপ। উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার জন্য ভিন জেলার অনেকেই কাটোয়া হাসপাতালে ভিড় জমান। কাটোয়া শহরে এমনিতেই সারারাত ওষুধের দোকান খোলা থাকে না। তাই বড় ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছিল ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান। সেটা বন্ধ হওয়ায় মুমূর্ষু রোগীদের চিন্তা বেড়েছে। সালারের বাসিন্দা আবুল হাসান মোল্লা, কেতুগ্রামের কোজলসার বাসিন্দা নিতাই হাজরা বলেন, আমাদের রোগী ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে। আমরা সারাবছর ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানের উপরেই ভরসা করি। কারণ বাইরে থেকে ওষুধ কেনার সামর্থ্য নেই। তাই কয়েকদিন ধরেই আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে এমন অবস্থা যে, পাশের রান্নার ক্যান্টিনেও সাধারণ মানুষ জানতে চাইছেন ওষুধের দোকান কবে চালু হবে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)