• পাথরঘাটায় রাস্তার নামবদল ঘিরে বিতর্ক, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে
    বর্তমান | ১৯ আগস্ট ২০২৪
  • পবিত্র বর্মন, শিলিগুড়ি: পাথরঘাটা রোডের নতুন নামকরণ নিয়ে কোন্দল ছড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে। পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান মহম্মদ সাহিদ ও তৃণমূল নেতা নির্মল রায়ের সঙ্গে মাটিগাড়া ব্লক-২ তৃণমূলের সহ সভাপতি সম্পদ রায়ের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে দলের একাংশ। দ্বন্দ্বের মূলে রাস্তার নাম পরিবর্তন। 

    গত বৃহস্পতিবার পাথরঘাটা রোডের নাম পরিবর্তন করে ‘মহাকালী মাতৃমন্দির রোড’ বোর্ড লাগানো হয়। সেই বোর্ডেই লেখা, সৌজন্যে পাথরঘাটা ভূমিপুত্র স্মৃতিরক্ষা ও যুব কল্যাণ সমিতি। প্রশ্ন উঠছে যে সমিতির রেজিস্ট্রেশনই নেই, তার সৌজন্য কেন দেওয়া হল? এছাড়াও বোর্ডে স্পষ্ট লিখে দেওয়া হয়েছে প্রধানের নির্দেশমতোই এই নামকরণ হয়েছে। প্রধান আবার ওই সমিতির চেয়ারম্যান হওয়ায় বিতর্ক আরও। এক্ষেত্রে প্রভাব খাটিয়ে সমিতিকে প্রচার পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের ব্লক সহ সভাপতি। তাঁর নিশানা সমিতির সহ সভাপতির দিকেও। রেজিস্ট্রেশনহীন সংস্থার সুপারিশে প্রধান কী করে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির নাম পরিবর্তন করতে পারেন? প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেতা সম্পদ রায়। 

    ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে রাস্তাটি ঘোকলাজোত দিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়েছে। রাস্তার আড়াই কিমি অংশের নাম পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে বিতর্ক ছড়িয়েছে। নিয়ম বলছে, কোনও রাস্তার নাম পরিবর্তন করতে হলে গ্রাম পঞ্চায়েতকে রেজোলিউশন করাতে হয়। সেই রেজোলিউশন পঞ্চায়েত সমিতি, ব্লক ও জেলা প্রশাসনে পাঠানোর নিয়ম। জেলা, ব্লক প্রশাসনের অনুমতি পেলে তবেই রাস্তার নাম বদল করা যায়। কিন্তু, পাথরঘাটা রোডের নাম পরিবর্তনে এসব নিয়ম মানা হয়নি বলে দাবি তৃণমূলের ব্লক সহ সভাপতির। 

    মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রতিমা রায়ের স্বামী সম্পদের অভিযোগ, প্রধান ও বেসরকারি সংস্থার সদস্যরা ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে এমন বোর্ড লাগিয়েছেন। যদিও প্রধানের দাবি, বোর্ড মিটিংয়ে সকলের অনুমতি নিয়ে রাস্তার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। রেজোলিউশনও করা আছে। দলেরই ব্লক সহ সভাপতির অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন প্রধান। একই বক্তব্য ভূমিপুত্র স্মৃতি রক্ষা সমিতির সভাপতি নির্মল রায়েরও। 

    তৃণমূল নেতাদের এই আকচাআকচিতে অস্বস্তিতে দলের কর্মীদের একাংশ। প্রধান ও ব্লক সহ সভাপতির কোন্দলে বিব্রত মাটিগাড়া-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রফুল্ল বর্মন। প্রধানের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। সহ সভাপতি সম্পদ প্রকাশ্যে দলের প্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়ায় বিরক্ত ব্লক সভাপতি। তিনি বলেন, কারও বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কিছু বলার আগে বিষয়টি নিয়ে দলে আলোচনা করা যেত। রাস্তার নাম পরিবর্তনের বিষয়টি মাটিগাড়া ব্লক প্রশাসনকেও জানানো হয়নি। সবটা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন মাটিগাড়ার বিডিও বিশ্বজিৎ দাস। পাথরঘাটার প্রধানের দাবি, আইন মেনেই রাস্তার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)