সংবাদদাতা, বালুরঘাট: আমদানি বন্ধ হওয়ায় বাংলাদেশে দাম কমেছে ইলিশের। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্ত দিয়ে এপারে শুরু হয়েছে দেদার পাচার। গোডাউনে বড় বড় ফ্রিজে সেই ইলিশ সংরক্ষণ করে রাখা হচ্ছে। সন্ধ্যা হতেই প্যাকিং করে দূরপাল্লার বাসে চাপিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। এছাড়া লুকিয়ে বাড়িতে সরবরাহ করা শুরু করেছে পাচারকারীরা। শুধু দালালদের ফোনে যোগাযোগ করলেই মিলবে ওপারের ইলিশ। বিএসএফের ৬১ ব্যাটালিয়নের আধিকারিক মনীশ এস রাঠোর বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। পাচার রুখতে সীমান্তে বাড়তি নজরদারি চলছে। পাচারকারীদের যেভাবে ইলিশ মজুত করছে, তা বড় মাছের আড়তের পরিকাঠামোর সমান। তবে মাছ মজুত থাকলেও বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হয় না বললেই চলে। বাংলাদেশের ইলিশের সরবরাহ একধাক্কায় কমে যাওয়ায় বেশি অসুবিধা হচ্ছে ভোজন রসিকদের। তাঁরা পাচার হওয়া ইলিশ চড়া দামে কিনছেন। এক থেকে দেড় কিলো ওজনের চোরাই ইলিশ এখন বিক্রি হচ্ছে ১৯০০ টাকায়। তবে বাজারে নয়, দালালদের মাধ্যমে এই ইলিশ বিক্রি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে দাম কমে যাওয়ায় পাচারকারীদের মুনাফাও বাড়ছে।