পবিত্র রায়, রাজগঞ্জ: রাজগঞ্জ ব্লকে নজরকাড়া দুর্গাপুজো করে শ্রী সঙ্ঘ সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি। বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসে খুঁটিপুজোর মধ্য দিয়ে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু করল তারা। এবছর শ্রী সঙ্ঘ ক্লাবের দুর্গাপুজো ৬৭ বছরে পড়তে যাচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে মণ্ডপসজ্জায় বিশেষ চমক দিয়ে আসছে এরা। নজর কাড়ছে দূরদূরান্তের মানুষের।
এ বছর একটু অন্যরকম চমক দিতে চলেছে শ্রী সঙ্ঘ ক্লাব সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি। এবার বাজেট ১১ লক্ষ টাকা। খুঁটিপুজো দিয়েই তারা মণ্ডপ তৈরির কাজে হাত দিয়েছে। পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, গোটা মণ্ডপ শালপাতা ও বাঁশের নানান কারুকাজে সাজিয়ে তোলা হবে। কাল্পনিক মন্দিরের আদলে তৈরি হবে মণ্ডপটি। প্রতিমা নিয়ে আসা হবে শিলিগুড়ির কুমোরটুলি থেকে। শুধু মণ্ডপ নয়, রাস্তাজুড়ে থাকবে চন্দননগরের চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা।
ক্লাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৯৫১ সালের তাঁদের ক্লাবের প্রতিষ্ঠা। তার কয়েকবছর পর থেকে শুরু করা হয় দুর্গাপুজো। তখন থেকেই ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে পাড়ার সকলে মিলে পুজোয় অংশ নিয়ে আসছেন। সেই ধারা এখনও চলছে। এই পুজোর জন্য পাড়া প্রতিবেশীরা মুখিয়ে থাকেন। পুজোর ক’দিন পাড়ার কমবেশি প্রতিটি বাড়ির সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যায়।
ক্লাব সভাপতি অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এবারে আমাদের দুর্গাপুজোর বাজেট ১১ লক্ষ টাকা। এ বছর একটু অন্যরকম ভাবে আমরা মণ্ডপ সাজাচ্ছি। পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহারে জোর দেওয়া হয়েছে। থাকছে শালপাতা, বাঁশের নানান কারুকাজ। প্রতিমা নিয়ে আসা হবে শিলিগুড়ির কুমোরটুলি থেকে। পুজোতে দর্শনার্থীদের মন কাড়বে আমাদের লাইটিং। পঞ্চমী থেকে শুরু করে দশমী পর্যন্ত প্রতিদিনই থাকছে গ্রামের ছেলেমেয়ে এবং বহিরাগত শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নবমীর দিন দর্শনার্থীদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা করেছে শ্রী সঙ্ঘ ক্লাব। - নিজস্ব চিত্র।