• রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে বকেয়া সম্পত্তি কর সাড়ে ৮ কোটি টাকা
    বর্তমান | ১৯ আগস্ট ২০২৪
  • সুব্রত ধর, শিলিগুড়ি: কর ‘খেলাপি’ তালিকায় রাজ্য ও কেন্দ্রের ২৩টি সংস্থা। পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের পর শিলিগুড়ি পুরসভা এমন তথ্যই দিয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, ওই ২৩টি সংস্থার কাছে বকেয়া সম্পত্তি করের পরিমাণ সাড়ে ৮ কোটি টাকা। বারবার তদ্বির করেও সেই কর আদায় করা যাচ্ছে না। এবার সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও দপ্তরের নাম পুরদপ্তরে পাঠানো হচ্ছে। 

    পুরসভার সম্পত্তি কর বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য রামভজন মাহাত বলেন, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সংস্থাগুলির কাছে দীর্ঘদিন ধরে কর বকেয়া। একাধিকবার জানিয়েও মেলেনি। তাই ওই সংস্থাগুলির তালিকা রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে। এরপর সংশ্লিষ্ট দপ্তর যা নির্দেশ দেবে সেমতো পদক্ষেপ নেব। 

    পুরসভাগুলির কর আদায় সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছে রাজ্য সরকার। গত মঙ্গলবার পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর বিভিন্ন পুরসভার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করে। তাতে শিলিগুড়ি পুরসভার অফিসাররা যুক্ত হন। পুরসভা থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গিয়েছে, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থার বকেয়া করের পরিমাণ নিয়ে সেখানে বিস্তারিত আলোচনা হয়। শহরে একাধিক ভবন থাকলেও রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিভিন্ন সংস্থা নিয়মিত সম্পত্তি কর দিচ্ছে না। কোনও কোনও সংস্থা ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কর বকেয়া রেখেছে। যার ফলে পরসভার নিজস্ব আয় মার খাচ্ছে। প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে উন্নয়নমূলক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি শোনার সঙ্গে সঙ্গে কর ‘খেলাপি’তে সংস্থাগুলির তালিকা তলব করেছে পুরদপ্তর। 

    শিলিগুড়ি শহরে রয়েছে অসংখ্য সরকারি অফিস। সেগুলির মধ্যে কিছু কিছু দপ্তরের নিজস্ব ভবন আছে। পুরসভা জানিয়েছে, কর খেলাপি তালিকায় রয়েছে কেন্দ্রীয় তিনটি সংস্থা। তাদের বকেয়ার পরিমাণ ১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা। যার মধ্যে অল ইন্ডিয়া রেডিও’র চারটি ভবনের কাছে দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া করের পরিমাণ ১ কোটি ১২ লক্ষ টাকা। রেলের তিনটি ভবনের কাছে বকেয়া প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। পোস্ট অ্যান্ড টেলিগ্রাফের কাছেও কর পাওনা রয়েছে। 

    এর বাইরে রাজ্য সরকারের ১৫টি সংস্থার কাছে বকেয়া করের পরিমাণ ৭ কোটি ৫ লক্ষ টাকা। যার মধ্যে বর্ধমান রোডে সেচদপ্তরের ডিভিশনাল অফিসের কাছে বকেয়া করের পরিমাণ ২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। এরবাইরে এনবিএসটিসি’র কাছে ১ কোটির উপরে, এসজেডিএ’র কাছে ৩৫ লক্ষ, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের কাছে ১৬ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে। এ ধরনের আরও কিছু সরকারি অফিস রয়েছে তালিকায়।
  • Link to this news (বর্তমান)