• পুজোর আগে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জোর, চার জেলার প্রতিনিধিদের তলব
    বর্তমান | ১৯ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: রাজ্যের ১৩ জেলায় চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গেরই রয়েছে চার জেলা। আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুর সেই তালিকায়। এই চার জেলার সাতটি ব্লকের ১০টি গ্রামপঞ্চায়েত ইতিমধ্যেই ডেঙ্গুপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত। পুজোর আগে ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্তে চিন্তিত পঞ্চায়েত ও স্বাস্থ্যদপ্তর। ১৩ জেলার ৪৩টি ব্লকের ৬৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ডেঙ্গুর দাপট লাগাম ছাড়া। ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় তড়িঘড়ি ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের কলকাতায় জরুরি তলব করা হয়েছে।

    আগামী শুক্রবার কলকাতায় জরুরি কর্মাশালা আয়োজন করা হয়েছে। পঞ্চায়েত ও স্বাস্থ্যদপ্তর সেই কর্মশালায় ডেঙ্গু অধ্যুষিত ব্লক প্রশাসন ও গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোকে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছে। জেলার যে ব্লকে সংক্রমণের সংখ্যা ৫০ পেরিয়েছে, সেই ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনকে কলকাতায় তলব করা হয়েছে। দার্জিলিং জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক তুলসী প্রামাণিক বলেন, যে সমস্ত ব্লকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি, সেই ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের কলকাতায় ডাকা হয়েছে। আগামী শুক্রবার সেখানে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। সেই কর্মশালায় ডেঙ্গু সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হবে। যাতে আসন্ন পুজোর মরশুমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কোনও ফাঁক না থাকে। তুলসীবাবু বলেন, প্রশাসন ও পঞ্চায়েত প্রধানদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তারাও সেই কর্মশালায় হাজির থাকবেন। 

    স্বাস্থ্যদপ্তর ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের লতাবাড়ি, কালচিনি ও ভাটপাড়া গ্রামপঞ্চায়েত ডেঙ্গুপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের মালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতও ডেঙ্গুপ্রবণ। অন্যদিকে, দার্জিলিং জেলায় মাটিগাড়া-১ ,মাটিগাড়া-২ এবং পাথরঘাটা গ্রামপঞ্চায়েত গুলোকেও ডেঙ্গু অধ্যুষিত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। মালদহ জেলার ইংলিশবাজার, কালিয়াচক-১, কালিয়াচক-২ ব্লকের মিলকি, কালিয়াচক-১ এবং বীরনগর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতও ডেঙ্গুপ্রবণ হিসেবে স্বাস্থ্যদপ্তরের তালিকায় নাম উঠে এসেছে।

    স্বাস্থ্য ও গ্রামোন্নয়ণ দপ্তরের উদ্যোগে সেই কর্মশালায় ডেঙ্গু সংক্রামিত জেলাগুলো থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন। একদিনের ওই কর্মশালাতেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্লক প্রশাসন, স্বাস্থ্যদপ্তর ও গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোকে গাইডলাইন দিয়ে দেওয়া হবে। সেই মোতাবেক পুজোর আগেই সমস্ত জেলাপ্রশাসন সপ্তাহে রিভিউ মিটিং করে ডেঙ্গু পরিস্থিতির রিপোর্ট রাজ্যে পেশ করবে।
  • Link to this news (বর্তমান)