• এবছর রাখি উৎসবে দেশে ১২ হাজার কোটি টাকার ব্যবসার আশা
    বর্তমান | ১৯ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আজ সোমবার রাখিবন্ধন উৎসবে ভারতে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হবে। এমনই আশা প্রকাশ করল ব্যবসায়ীদের সর্বভারতীয় সংগঠন কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স। তাদের বক্তব্য, গতবারের রাখিবন্ধন উৎসবে অনেকটাই কোণঠাসা ছিল চীনা পণ্য। এবার তারা আরও বেশি কোণঠাসা। প্রসঙ্গত, কাঁচামাল হোক বা তৈরি হওয়া রাখি—কয়েক বছর আগেই প্রায় গোটা বাজার দখল করে রাখত চীন। 


    কনফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল তথা সাংসদ প্রবীণ খান্ডেলওয়াল বলেন, আমরা সংগঠনের পক্ষে যতটা পেরেছি, ব্যবসায়ীদের রাখিবন্ধন উৎসবের সঠিক সময় প্রচার করার জন্য আর্জি জানিয়েছি। সোমবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ‘ভদ্রা’ যোগ আছে, যা শাস্ত্রমতে অশুভ। তারপরই রাখিবন্ধন উৎসব সবচেয়ে বেশি শুভ। গতবছর এই উৎসব দু’দিন ধরে চলে। তাতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছিল দেশজুড়ে। এবার সেই ব্যবসা ১২ হাজার কোটিতে পৌঁছাবে বলে আশা রাখছি। 


    কনফেডরেশনের নিজস্ব হিসেব, ২০১৮ সালে মাত্র তিন হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছিল রাখিপূর্ণিমায়। এবার ব্যবসা যে আশা করছেন ব্যসায়ীরা, সেই তালিকায় আছে রাখির পাশাপাশি উপহার সামগ্রী, ভোগ্যপণ্য এবং মিষ্টি। সংগঠনটির বক্তব্য, আঞ্চলিক স্তরে রাখির যা চাহিদা আছে, সেখানে কলকাতার পাটের তৈরি রাখির পাশাপাশি রয়েছে ছত্তিশগড়ের কোসা রাখি, মুম্বইয়ের সিল্ক রাখি, নাগপুরের খাদির রাখি, মধ্যপ্রদেশের সাতনার উলের তৈরি রাখি, ঝাড়খণ্ডের বাঁশের রাখি, কানপুরের মুক্তোর রাখি, কেরলের খেজুরের তৈরি রাখি, অসমে চায়ের পাতায় তৈরি রাখি, বিহারের মধুবনি ও মৈথিলি কারুকাজের রাখির মতো হরেক পণ্য। এর পাশাপাশি ভালো বাজার করেছে টাটকা ফুলের তৈরি রাখি, ভারতমাতা বা তেরঙ্গা রাখি, জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কুটির শিল্পের মাধ্যমে যে রাখিগুলি তৈরি হয়েছে, তা গ্রামীণ স্তরে মানুষের হাতে নগদ পয়সা এনে দিয়েছে অনেকটাই, দাবি সংগঠনের কর্তাদের।
  • Link to this news (বর্তমান)