• নির্দিষ্ট সময়ের আগেই মিলগুলি থেকে ৯০ শতাংশ চাল পেল রাজ্য খাদ্যদপ্তর
    বর্তমান | ১৯ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চলতি খরিফ মরশুমে নির্ধারিত সময়ের আগেই রাইস মিলগুলির কাছ থেকে উৎপাদিত চালের প্রায় ৯০ শতাংশ খাদ্যদপ্তর পেয়ে গিয়েছে। তবে কয়েকটি জেলাতে চাল পাওয়ার পরিমাণ কিছুটা কম আছে। ওই জেলাগুলিকে বকেয়া চাল দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যে রাইস মিলগুলির কাছ থেকে এখনও বেশি পরিমাণে চাল বকেয়া আছে তাদের তালিকা প্রকাশ করে আদায়ে জোর দিয়েছে খাদ্যদপ্তর। উল্লেখ্য, সরকারি উদ্যোগে চাষিদের কাছ থেকে যে ধান কেনা হয় তা থেকে চাল উৎপাদনের জন্য নথিভুক্ত রাইস মিলগুলিতে পাঠানো হয়। মিলগুলি চাল উৎপাদন করে সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেয়। ওই চাল রেশন দোকান, মিড ডে মিল ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়। রাইস মিলগুলির কাছ থেকে চাল পাওয়ার ক্ষেত্রে আগে অনেক সমস্যা হতো। বকেয়া চাল আদায়ের জন্য পুলিসে অভিযোগ জানাতে হয়েছে খাদ্যদপ্তরকে পুলিস রাইস মিল মালিককে গ্রেপ্তার করে ফৌজদারি মামলা করলেও চাল মিলত না। এতে আর্থিক ক্ষতি হতো সরকারের। কিন্তু খাদ্যদপ্তর বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে গত কয়েক বছর ধরে প্রাপ্য চালের পুরোটা‌ই পেয়ে যাচ্ছে খাদ্যদপ্তর। 

    চাল না দিলে ব্য্যাঙ্ক গ্যারান্টির বাবদ 

    জমা রাখা মোটা টাকা বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। ওই মিলগুলিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। 

    এখনও পর্যন্ত চলতি খরিফ মরশুমে প্রায় সাড়ে ৫১ লক্ষ টন ধান চাষিদের কাছ থেকে সরকারি উদ্যোগে কেনা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫১ লক্ষ টন ধান থেকে চাল উৎপাদনের জন্য মিলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগস্ট মাসের মধ্যে বকেয়া চাল পুরোপুরি মিটিয়ে দেওয়ার জন্য খাদ্যদপ্তর মিলগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে। খাদ্যদপ্তর সম্প্রতি জেলার আধিকারিকদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সেব মাধ্যমে বৈঠক করে। সেখানে পেশ করা রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ৮৯ শতাংশ চাল ইতিমধ্যেই সরকারের ঘরে চলে এসেছে। বীরভূম ছাড়া সব জেলাতেই ৮০ শতাংশের বেশি চাল পাওয়া গিয়েছে। তবে তুলনামূলকভাবে কম চাল দিয়েছে এমন জেলাগুলিকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। 
  • Link to this news (বর্তমান)