• আগে ৫৯ হাজার টাকা দিন, তারপর কথা
    বর্তমান | ১৯ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কেন্দ্র-রাজ্য যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় কেন্দ্রের পদক্ষেপ নিয়ে রাজ্যের আপত্তি বা অসুবিধা থাকতেই পারে। সেক্ষেত্রে দু’তরফের আলাপ-আলোচনা-বৈঠকই দস্তুর। কিন্তু দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলির শীর্ষ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি) নয়া আইনে চালু করেছে নতুন নিয়ম। তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বা পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করলেও মেডিক্যাল কলেজগুলিকে দিতে হবে টাকা! নয়া ফতোয়া অনুযায়ী, প্রতিটি অবেদনের আগে ৫০ হাজার টাকা ও তার সঙ্গে জিএসটি যুক্ত করে মোট ৫৯ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। সূত্রের 

    খবর, নয়া নিয়মের জেরে বাংলার মেডিক্যাল সরকারি কলেজগুলি ইতিমধ্যেই প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা গুনাগার দিয়ে বসে আছে। 

    বাংলার একাধিক মেডিক্যাল কলেজের দীর্ঘদিনের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষরা বলেন, কস্মিনকালে এসব ছিল না। পুনর্বিবেচনার আবেদন করতাম চিঠি লিখে। দরকারে দিল্লি গিয়ে কথা বলে আসতাম। খামতি মোকাবিলায় কী কী করা হয়েছে, ওরা সেই কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট চাইতেন। আমরা দিতাম। ওরা ফের পরিদর্শন করতেন। টাকাপয়সা দেওয়া নেওয়া ছিল না। তাছাড়া একটি সরকারি কলেজ আর একটি সরকারি সংস্থাকে টাকা দেবে, ব্যাপারটাই দৃষ্টিকটু!

    যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এই আচরণ করা যায় না  বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, রা঩জ্যের বক্তব্য কেন্দ্রীয় কমিশনে জানানোর আপিলেও টাকা? এ তো সামন্তপ্রভুর ন্যায় আচরণ! বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ডাঃ ইন্দ্রনীল খাঁ বলেন, কেন এমন হচ্ছে, বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়েই মন্তব্য করব। 

    এনএমসি জানিয়েছিল, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ডাক্তারদের ৭৫ শতাংশ বায়োমেট্রিক হাজিরা থাকতে হবে। বাংলার সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে তা না থাকায় সম্প্রতি ১২-২৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করে এনএমসি। রাজ্য পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আপিলপিছু ২৪টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের প্রত্যেককে ঩দিতে হয়েছে ৫৯ হাজার টাকা! রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, জরিমানা পুনর্বিবেচনা করার আবেদন জানাতে গেলেও যদি টাকা দিতে হয়, তাও তো জরিমানারই শামিল! স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, আমাদের কিছু করার নেই। ওদের নিয়ম মোতাবেক এই টাকা দিতে হয়েছে।  
  • Link to this news (বর্তমান)