• মশার লার্ভা দমনে পৌনে ৪ লক্ষ গাপ্পি বিধাননগরে
    বর্তমান | ১৯ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩-এ ডেঙ্গু সংক্রমণের হার কমেছে বিধাননগরে। চলতি বছরে আবার গত বছরের তুলনায় ডেঙ্গু সংক্রমণ আরও কম হয়েছে। গত বছর জুলাই পর্যন্ত যেখানে ১৪৫ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন, এবার সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৬! সংক্রমণ যাতে কোনওভাবেই না বাড়ে, তার জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ। নালা ও বন্ধ জলাশয়ে যাতে মশার লার্ভার উপদ্রব না বাড়ে তার জন্য পৌনে ৪ লক্ষ গাপ্পি মাছ ছেড়েছে তারা। পুরসভার দাবি, ৪১টি ওয়ার্ড মিলিয়ে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার গাপ্পি ছাড়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও ছাড়া হবে। বর্ষার পর ডেঙ্গু বাড়ে। তাই সবদিকেই নজর দেওয়া হয়েছে।

    প্রতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু সংক্রমণের হিসেব রাখা হয়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে বিধাননগরে ৩১০৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তখন পর্যন্ত ২০১৭ সালেই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ। পরে আবার নতুন রেকর্ড তৈরি হয় ২০২২ সালে। সেবার মোট ৪ হাজার ২২২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০২৩ সালেও সংক্রমণের গ্রাফ উপরের দিকে ছিল। আগস্ট থেকে ডেঙ্গু বাড়তে থাকে। শুধুমাত্র সেপ্টেম্বরেই নতুন করে ১৪০০ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। অক্টোবর মাসেও আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১৯৭ জন। তবে, বছর শেষে দেখা যায়, ২০২৩ সালে মোট ৩৯৫৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। অর্থাৎ, গত বছরের চেয়ে ২৬৬ জন কম আক্রান্ত হয়েছেন। গত বছর শুধুমাত্র জুলাই মাসে ১০১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেখানে এবার গত জুলাইয়ে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ১৪ জন।

    বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ৪১টি ওয়ার্ডের জন্য ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার গাপ্পি ছাড়া হয়েছে। ডেঙ্গু রুখতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গতবারের চেয়ে সংক্রমণ যাতে আরও কম হয়, তার চেষ্টা চলছে।
  • Link to this news (বর্তমান)