এরপরই পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে প্রতিবাদী সমর্থকরদের সরিয়ে দেওয়ার জন্যে ছুটে যান। হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। অনেকেই এদিক ওদিক ছুটতে থাকেন। তারই মধ্যে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের বেশ কয়েকজন সমর্থককে আটক করে প্রিজনভ্যানে তুলতে থাকেন পুলিশ। তাঁরা জোরগলায় বলতে থাকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে ছত্রভঙ্গ করে জোর করে আমাদের আটক করছেন। অশান্ত হয়ে ওঠে পুরো চত্বর। তাঁরা দাবি করতে থাকেন মহিলা সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জ করা হয়েছে। যে প্রিজনভ্যানে সমর্থকরদের আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছিল, সেই প্রিজন ভ্যানকে ঘিরে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ জানাতে থাকেন সমর্থকরা। গর্জন চওড়া হতেই বিক্ষোভকারী সমর্থকদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপরে ধীরে ধীরে সমর্থকদেরও প্রতিবাদে মিছিল এগিয়ে যায়।
প্রতিবাদী সমর্থকরা জানান, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ভিআইপি গেটের ১০০ মিটার দূরে সরে গিয়ে প্রতিবাদ করতে। আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে ভিআইপি গেট থেকে দূরে সরে গিয়েছিলাম। তারপরে আমাদের উপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। লাঠিচার্জ থেকে বাদ পড়েননি মহিলা সমর্থকরা। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেছিলেন।
ফুটবল সমর্থকদের বিক্ষোভে ইএম বাইপাস স্তব্ধ হয়ে যায়। একটা সময় সারাভারত ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হাজির হয়ে যান। পুলিশের সঙ্গে তাঁকে কথা বলেত দেখা যায়। অনেকের মুখে শোনা গেল ডার্বি ম্যাচ বন্ধ করে প্রতিবাদ স্তব্ধ করা যাবে না। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফুটবল সমর্থকরা ছুটে এসেছিলেন প্রতিবাদ কণ্ঠকে আরও জোরদার করতে। দুই প্রধানের সমর্থকরা একাকার হয়ে গেলেন। তাদের সঙ্গে হাত মেলালেন সাধারণ মানুষও।
প্রতিবাদী সমর্থকদের মধ্যে দেখা গিয়েছে ফুটবলার শুভাশিস বসুকে। প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন প্রবীর দাস থেকে প্রীতম কোটালরা। তাঁরাও ন্যায় বিচার চান। আরজিকর হাসপাতালের ঘটনাকে তীব্র নিন্দা করেন যশপ্রীত বুমরা, ঋদ্ধিমান সাহা সহ আরও অনেকে। এবারে এই তালিকায় সংযোজন হলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার হরভজন সিং।