আরজি কর হাসপাতালে হামলার তদন্ত গেল গোয়েন্দা পুলিশের হাতে
এই সময় | ১৯ আগস্ট ২০২৪
এই সময়: গত বুধবার রাতে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচি চলাকালীন আরজি কর হাসপাতালে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের উপর বহিরাগতদের হামলার অভিযোগ ওঠে। হামলাকারীরা ওই হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়, এমনকী চারতলায় চেস্ট মেডিসিন বিভাগের সেমিনার রুম পর্যন্ত পৌঁছনোর চেষ্টা করেছিল।গোটা ঘটনাটা পরিকল্পনামাফিক করা হয়েছিল বলে এখনও পর্যন্ত মনে করছেন কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা। রবিবার সেই ঘটনার তদন্তভার সরকারি ভাবে হাতে নিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। এ বার তাঁরা খতিয়ে দেখবেন, কে বা কারা, কী উদ্দেশ্যে এই হামলা চালিয়েছিলেন?
পুলিশ সূত্রে খবর, টাওয়ার ডাম্পিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে এই ঘটনায় রবিবার আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। টাওয়ার ডাম্পিংয়ের মাধ্যমে কোনও একটি নির্দিষ্ট মোবাইল টাওয়ার মারফত কোনও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কতগুলি মোবাইল কল যাওয়া-আসা করেছে, তা চিহ্নিত করা হয়।
তারমধ্যে সন্দেহজনক মোবাইল নম্বরগুলির উপর নজরদারি চালিয়ে এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেই অভিযুক্তদের পাকড়াও করা হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রের দাবি। এখনও পর্যন্ত সে রাতের ঘটনায় তিনটি থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। টালা ছাড়াও, উল্টোডাঙা এবং শ্যামপুকুর থানায় মামলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলেছে বলে সূত্রের খবর। ঘটনার দিন সিসিটিভি ক্যামেরাতে যাঁদের দেখা গিয়েছিল, তাঁদের গ্রেপ্তার করতে কলকাতা পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযুক্তদের ছবি পোস্ট করে। লালবাজারের সাংবাদিক সম্মেলন করে কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল তিনটি ভিডিয়োও দেখান।
তাতে একটি ভিডিয়োতে আরজি কর হাসাপাতালের সামনে সিপিএম-এর যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর পতাকাও দেখা গিয়েছিল। হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় কারও অথবা কোনও দলের উস্কানি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদম্তকারী অফিসারেরা।