আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদ মঞ্চেও গোষ্ঠী কোন্দল তৃণমূলের
বর্তমান | ১৯ আগস্ট ২০২৪
সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: আর জি করের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার শাসকদলও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি ব্লকে এই বিক্ষোভ প্রদর্শনের নির্দেশ দেন। সেই মতো ব্লকে ব্লকে হচ্ছে মিছিল ও অবস্থান বিক্ষোভ। তবে, সাগরদিঘি ব্লকে নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর শাসকদলের পৃথক পৃথক ধর্নামঞ্চ দেখা গেল। একদিকে সাগরদিঘি তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি ও অপরদিকে বিধায়কের অনুগামীরা। প্রায় একই জায়গায় দু’টি আলাদা ধর্নামঞ্চ হওয়ায় রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল যে চরমে তা স্পষ্ট এই পৃথক ধর্নামঞ্চ থেকে। যদিও পৃথক ধর্নামঞ্চের সঙ্গে গোষ্ঠী কোন্দলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে শাসকদলের পক্ষে দাবি করা হয়েছে। এলাকার মা বোনেদের আশ্বস্ত করতেই একাধিক বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে প্রতিটি বুথে বুথে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্লক নেতৃত্ব।
এ প্রসঙ্গে সাগরদিঘি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নুরে মেহেবুব আলম সাংবাদিকদের বলেন, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছি। পাশাপাশি ব্লকের মা বোনদের আশ্বস্ত করছি আমরা আপনাদের পাহারাদার হিসেবে রয়েছি। তবে বিধায়ক আলাদা কর্মসূচি পালন করছেন। এতে শাস্তির দাবি আরও জোরালো হবে।
জানা গিয়েছে, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে সাগরদিঘির ব্লক মোড়ে ধর্নায় বসেন ব্লক সভাপতি নুরে মেহেবুব আলম। এছাড়াও উপস্থিত জেলা পরিষদের সদস্যা ভারতী হাসদা, প্রাক্তন ব্লক সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় সহ কর্মী সমর্থকরাও। এই ধর্নামঞ্চ থেকেই আর জি করের মহিলা চিকিৎসকের খুনীদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হন। সেই ধর্নামঞ্চ থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরত্বে সাগরদিঘি বাস স্ট্যান্ডে ও একটা পৃথক ধর্নামঞ্চ হয়। এই ধর্নামঞ্চটি সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের পক্ষ থেকে করা হয়েছে বলে তাঁর অনুগামীদের দাবি। যদিও এদিন বিকেল পর্যন্ত কোনও ধর্নামঞ্চেই বাইরন বিশ্বাস অংশ নেননি বলে জানা গিয়েছে। সাগরদিঘি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি কিসমত আলি সহ বিধায়ক ঘনিষ্ঠরা সেই ধর্নামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের সঙ্গে ব্লক সভাপতি নুরে মেহেবুব আলমের মতানৈক্যের ফলে পৃথক ধর্নামঞ্চ করা হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত। সম্প্রতিকালে দলীয় কোনও কর্মসূচিতে ব্লক সভাপতি ও বিধায়ককে এক মঞ্চে দেখা যায়নি। এমনকী গত লোকসভা নির্বাচনেও তাঁদের একসঙ্গে কোনও সভা বা প্রচারে দেখা যায়নি। এ প্রসঙ্গে জানতে বাইরন বিশ্বাসকে ফোন করা করা হলে তাঁর সহকারী বলেন, বিধায়ক বিশ্রাম করছেন। এ বিষয়ে পরে বলা হবে।