জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে প্যানিক বোতাম, বাড়ল নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী
বর্তমান | ১৯ আগস্ট ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: মহিলা চিকিৎসক ও নার্সদের সুরক্ষায় জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে বসছে প্যানিক বোতাম। সন্ধ্যার পর থেকে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সিসিক্যামেরার কভারেজ এরিয়ার মধ্যে ঘোরাফেরা করতে বলা হয়েছে। বদল আনা হচ্ছে ডিউটি রোস্টারে। এখন থেকে রাতে ওয়ার্ডে শুধু মহিলা নার্স নয়, থাকবেন পুরুষ নার্সও। সেইসঙ্গে বাড়ল মেডিক্যালের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যাও। ডাক্তারি পড়ুয়াদের হস্টেল চত্বরে মধ্যরাত পর্যন্ত নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবে পুলিসের উইনার্স টিম।
এই ব্যাপারে জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের সুপার ডাঃ কল্যাণ খাঁ বলেন, হাসপাতালের সুরক্ষা বৃদ্ধির ব্যাপারে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুলিস সহযোগিতা করছে। আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। সোমবার থেকে সিনিয়র চিকিৎসকদের দিয়ে আউটডোর সচল করার চেষ্টা চলছে। সিনিয়র রেসিডেন্ট ও হাউস স্টাফরা ইমারজেন্সি পরিষেবা দেবেন।
অভিযোগ, জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের অধীন জেলা সদর ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অনেক বিভাগে মহিলা চিকিৎসক ও নার্সদের একাংশ বিকেল পাঁচটার পর ডিউটি করতে চাইছেন না। ওইসব এলাকায় প্রয়োজনীয় সুরক্ষার অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। এ ধরনের জায়গাতেই প্যানিক বোতাম বসতে চলেছে। ওয়ার্ডেও প্যানিক বোতাম থাকবে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে প্যানিক বোতামে চাপ দিলে সতর্ক হয়ে যাবে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মেডিক্যাল সূত্রে খবর, একটি ডার্কজোন পিছু তিনটি করে সিসিক্যামেরা বসানো হচ্ছে। এই ক্যামেরার ফুটেজের উপর নজর রাখবে পুলিস। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও যাতে সবটা দেখতে পায়, সেজন্য প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে মনিটরগুলি।
জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল সূত্রে খবর, বর্তমানে সদর হাসপাতালে নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা ৪৪ জন। তাঁরা অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা ৭০। কিন্তু সংখ্যাটা মোটেই যথেষ্ট নয়। মেডিক্যালের সুপার বলেন, আমরা আরও ১২০ জন নিরাপত্তারক্ষী চেয়ে স্বাস্থ্যভবনের কাছে আবেদন জানিয়েছি। আপাতত আমাদের জনা কুড়ি নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করতে বলা হয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, বিকেল তিনটে থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত সদর হাসপাতাল ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরে টহল দিচ্ছেন উইনার্স বাহিনীর সদস্যরা। বিশেষ করে মেডিক্যালের গার্লস হস্টেল চত্বরের সুরক্ষার উপর তাঁরা নজর রাখছেন। - ফাইল চিত্র