• এসইউভি-লরির সংঘর্ষ, নিহত কালিয়াচকের ৬
    বর্তমান | ১৯ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: ইংলিশবাজারে লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল গাড়ির ৬ জন আরোহীর। একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। গুরুতর জখম অবস্থায় তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। মৃতরা মালদহ জেলার কালিয়াচক-১ ব্লকের বাসিন্দা বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।


     শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। কালিয়াচক থেকে একটি গাড়িতে চালক সহ সাত যুবক ইংলিশবাজার শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। ইংলিশবাজারের কাটাগড়ের কাছে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জাতীয় সড়কের ডিভাইডার পার করে উল্টো লেনে চলে যায়। জানা গিয়েছে, সেখানেই ইংলিশবাজার শহরের দিক থেকে আসা একটি লরিতে সজোরে ধাক্কা মারে গড়িটি। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটির অবস্থা দেখে পুলিসের অনুমান, সেটি ঘণ্টায় একশো কিমির বেশি গতিতে চালানো হচ্ছিল। সেজন্যই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে থাকতে পারেন চালক।


    স্থানীয়রা খবর দেওয়ামাত্রই ইংলিশবাজার থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।  


    মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু’জনকে মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তথা মোথাবাড়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, দুর্ঘটনাস্থলেই ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। একজন গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিত্সাধীন।


    মৃতদের মধ্যে পাঁচজনের নাম জানা গিয়েছে। তাঁরা হলেন সাকিউল শেখ (১৮), নঈম শেখ (১৮), মাসিদুর শেখ (১৮), পাভেল শেখ (১৮)। আরও এক মৃত যুবক নূর হাসানের বয়স জানা যায়নি। মেডিক্যাল কলেজে চিকিত্সাধীন রয়েছেন পারভেজ শেখ (১৮)।


    রবিবার মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সমবেদনা জানান সাবিনা ইয়াসমিন। পাশাপাশি, মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ময়নাতদন্ত করে মৃতদেহ বাড়িতে পাঠানোর বন্দোবস্ত করেন। 


    এদিন মেডিক্যাল কলেজে বিধায়ক বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। রাত বাড়লেই জাতীয় সড়কে যেভাবে বাইক রেস এবং প্রচণ্ড গতিতে গাড়ি চালানো হচ্ছে, তাতে বিপদ আরও বাড়ছে। যুবসমাজ নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনছে।


    এরপরেই তিনি বলেন, সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিস প্রশাসন দুর্ঘটনা কমানোর অনেক চেষ্টা করছে। কিন্তু নিয়ম না মানার ফলে বারবার দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকে। এই প্রবণতা বন্ধ না হলে প্রাণহানি রোখা যাবে না। ( নিজস্ব চিত্র।)
  • Link to this news (বর্তমান)