প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে বাঁধে আশ্রয়, গঙ্গার জল ঢুকে স্কুল বন্ধ কুড়িদিন
বর্তমান | ১৯ আগস্ট ২০২৪
সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: মালদহের রতুয়া-১ ব্লকের বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা গঙ্গা নদীর ভাঙনের কবলে। মানুষ এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন। অনেকেই রতুয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। জলমগ্ন জিয়ারুদ্দিনটোলা হাইস্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ। প্রায় কুড়ি দিন ধরে সেখানে ক্লাস হচ্ছে না। স্কুলের নীচতলা গঙ্গার জলে জলমগ্ন। ফলে নির্ধারিত সময়ে স্কুলের দ্বিতীয় পর্বের মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়নি। গত ৬ আগস্ট পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির দ্বিতীয় পর্বের মূল্যায়ন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নদীর জল ঢুকে যাওয়ায় পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। স্কুল থেকে গঙ্গা মাত্র তিনশো মিটার দূরে। জিয়ারুদ্দিনটোলা হাইস্কুল ছাড়াও এলাকার একাধিক প্রাইমারি স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, এই অঞ্চলের পূর্বে ফুলহর এবং পশ্চিম দিকে গঙ্গা বইছে। দুই নদীর গ্রাসে বিস্তীর্ণ এলাকা বিলীন হয়ে গিয়েছে। অনেকে ভিটেমাটি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছেন। এই সমস্যা প্রতিবছরের। এবছর নয়া বিলাইমারিতে গঙ্গার জল ঢুকে পড়েছে। স্কুল বন্ধ। স্থানীয় সাদিকুল ইসলাম, আব্দুল হালিম, লাল মহম্মদদের ছেলেমেয়েরা জিয়ারুদ্দিনটোলা হাইস্কুলে পড়াশোনা করে। এলাকায় ভাঙন শুরু হওয়ায় তাঁরা এলাকা ছেড়ে চলে এসেছেন। স্কুলেও জলমগ্ন। ক্লাস বন্ধ। জিয়ারুদ্দিনটোলা হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মহম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, গঙ্গার জল স্কুলে ঢুকে পড়ায় প্রায় কুড়ি দিন থেকে স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ। ৬ আগস্ট থেকে দ্বিতীয় পর্বের মূল্যায়ন শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেটাও নেওয়া সম্ভব হয়নি। স্কুলের নীচে তলায় জল ঢুকে যাওয়ায় কাগজপত্র সহ অন্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিস স্কুলের উপরতলায় রাখা হয়েছে। স্কুল সহ আশপাশের এলাকা জলমগ্ন। কোথাও ভাঙনের কবলে। কবে স্কুলে পঠনপাঠন শুরু হবে? জানে না জিয়ারুদ্দিনটোলা হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ।ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক বলছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।জিয়ারুদ্দিনটোলা হাইস্কুল ছাড়াও রুহিমারি প্রাইমারি, নয়া বিলাইমারি প্রাইমারি এবং দেওয়ানওয়ালা এসএলভি প্রাইমারি স্কুল বন্ধ আছে। রতুয়া নতুন শিক্ষা চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক আশিক শেখ বলেন, গঙ্গার জল ঢুকে পড়ায় চক্রের জিয়ারুদ্দিনটোলা হাইস্কুল সহ কয়েকটি প্রাইমারি স্কুল বন্ধ রয়েছে। - নিজস্ব চিত্র