প্রয়াত কোচবিহারের বিশিষ্ট লেখক এবং সাংবাদিক দেবজ্যোতি রায়
বর্তমান | ১৯ আগস্ট ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক দেবজ্যোতি রায়। রবিবার সকালে কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। কয়েক মাস ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। কলকাতায় তাঁর চিকিৎসা চলছিল। সম্প্রতি কলকাতা থেকে ফিরেছিলেন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল। এদিন দেবজ্যোতি রায়ের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই শহরের কবি, লেখক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও গুণগ্রাহী মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।
খবর পেয়ে নার্সিংহোমে যান পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিখিলচন্দ্র রায়, ফরওয়ার্ড ব্লকের কোচবিহার জেলা সভাপতি দীপক সরকার। পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নার্সিংহোমের পাশেই দেবজ্যোতি রায়ের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখান থেকে পাটাকুড়ায় তাঁর আদি বাড়িতে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে দেবীবাড়িতে একটি সংবাদমাধ্যমের অফিসের সামনে তাঁর মরদেহ শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শায়িত রাখা হয়। এখানে উপস্থিত ছিলেন নাট্যকার কল্যাণময় দাস, কবি সুবীর সরকার, নীলাদ্রি দেব, চিত্রশিল্পী শ্রীহরি দত্ত সহ শহরের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে এখানেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানান। সেখান থেকে মরদেহ কাকড়িবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কাকড়িবাড়িতে এনবিএসটিসি’র চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় শেষশ্রদ্ধা জানান। সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী সীমা মুখোপাধ্যায়কে। উত্তরবঙ্গে যে ক’জন লেখক ভিন্ন ধারার সাহিত্য চর্চায় আজীবন নিমগ্ন থেকেছেন দেবজ্যোতি রায় তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ভিন্ন ধারার গদ্য নির্মাণ, চিন্তাভাবনা তাঁকে স্বতন্ত্র করেছে। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাগুলি হলো- ‘নির্মম বর্শার গান’, ‘স্বর’, ‘একটি আত্মস্থ হল্লাবোল ও অন্যান্য কবিতা’, ‘নরকের থেকে এক টুকরো অনির্বচনীয় মেঘ’, ‘নষ্ট আত্মার নোটবই’, মস্তান রাশির জাতক, ‘গদ্য সংগ্রহ-১’ সহ অন্যান্য। - ফাইল চিত্র