• শিশু উদ্যানে চলছে চাষবাস, আগের অবস্থায় ফেরানোর আর্জি বাসিন্দাদের
    বর্তমান | ১৯ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: মাথাভাঙা-২ ব্লকের পারডুবি গ্রাম পঞ্চায়েতের দোলং মোড়ে নয়ের দশকে তৈরি করা হয়েছিল শিশু উদ্যান। বর্তমানে সেই উদ্যানের একাংশে চলছে চাষবাস। উদ্যানের চিহ্ন বলতে গেটের দু’টি পিলার। আর ভিতরে কয়েকটি পাতাবাহার গাছ। পার্কটির হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনার দাবি উঠেছে। বাম আমলে শিশুদের জন্য উদ্যানটি তৈরি হয়। তখন থেকেই বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। অভিযোগ, বেশ কয়েকজনের জমিতে সিপিএম ঝান্ডা লাগিয়ে দখল করে উদ্যান বানায়। খাতা-কলমে পঞ্চায়েত সমিতি উদ্যান বানালেও নিয়ন্ত্রণে ছিল সিপিএম নেতাদের। দীর্ঘদিন সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে উদ্যান বেহাল হয়ে পড়ে। বামআমলে নতুন করে সাজিয়ে তোলার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উদ্যানের জায়গায় পঞ্চায়েত সমিতির তিনবিঘা জমিও রয়েছে। বিতর্কিত জমি ছেড়ে দিয়ে ওই তিনবিঘা জমিতেই নতুন করে শিশুদের জন্য উদ্যান তৈরির দাবি উঠেছে। 


    পারডুবির প্রাক্তন প্রধান অশোককুমার বর্মন বলেন, বাম আমলে সিপিএম পার্টি অফিসের উল্টোদিকে ন’বিঘা জমিতে উদ্যানটি করা হয়েছিল। ওখানে পঞ্চায়েত সমিতির জমি আছে তিনবিঘা। দখল করা জমিতে এখন চাষবাস হচ্ছে। তবে পঞ্চায়েত সমিতি চেষ্টা করলে তাদের তিনবিঘা জমিতে উদ্যান তৈরি করতে পারে। আমি প্রধান থাকার সময়ে এটা প্রস্তাব দিয়েছিলাম। 


    মাথাভাঙা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবলু বর্মন বলেন, পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে উদ্যানটি ছিল কি না খোঁজ নিয়ে দেখব। একইসঙ্গে জমি নিয়ে কি সমস্যা রয়েছে সেটাও দেখা হবে। মাথাভাঙা-২ ব্লকের সিপিএম নেতা হরিপদ বর্ধন বলেন, পঞ্চায়েত সমিতির আওতায় পার্কটি তৈরি করা হয়েছিল। ওই সময়ে কেউ জমি নিয়ে বির্তকের কথা বলেনি। স্থানীয় বাসিন্দা সুবল রায়, বিপুল বর্মন প্রমুখ বলেন, এলাকার শিশুদের খেলার জন্য একটি উদ্যান দরকার। এখন শিশুরা মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে। উদ্যানটি হলে খেলতে পারবে। এ ব্যাপারে পঞ্চায়েত সমিতির অগ্রণী ভূমিকা নেওয়া উচিত। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)