• 'কোনও জিন্স পরা মহিলা...', আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ নিয়ে ফের বিস্ফোরক উদয়ন গুহ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ আগস্ট ২০২৪
  • গত ৯ অগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতলে নৃশংস ভাবে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছিল এক চিকিৎসককে। সেই ঘটনায় গর্জে উঠেছে গোটা বাংলা। ১৪ তারিখের রাতে এই আবহে অনুষ্ঠিত হয়েছিল 'মেয়েদের রাত দখল' কর্মসূচি। আর গতকাল কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন শহরে দিনভর হয়েছে আন্দোলন-প্রতিবাদ। এই আবহে ফের একবার এই আন্দোলন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়নের কথায়, মদের ঠেক, জুয়ার বিরুদ্ধে শহরের জিন্স পরা মহিলারা কখনও মাঠে নামেন না। কারণ, আবেগ কম পড়ে যায়। এর আগে এই উদয়নকেই বলতে শোনা গিয়েছিল, 'স্বামীরা মারলে রাতে যেন কোনও মহিলা ফোন করে আমার কাছ থেকে সাহায্য না চায়।' আবার আন্দোলনের আবহে উদয়ন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কেউ আঙুল তুললে আঙুল ভেঙে দিতে হবে।'

    গতকাল আরজি কর কাণ্ডে দিনহাটা-২ ব্লকে তৃণমূলের পালটা বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই উদনয়কে বলতে শোনা যায়, 'গ্রামের মহিলারা মদের ঠেক ভেঙে দেন, জুয়োর ঠেক ভেঙে দেওয়ার জন্য ঝাঁটা নিয়ে মিছিল করেন। কিন্তু মদের ঠেক ভাঙার জন্য বা জুয়ার ভাটি ভাঙার জন্য আমি কোনওদিন কোনও জিন্স পরা মহিলাকে দেখিনি, আমি কোনওদিনও বয়কাট চুলের মেয়েকে দেখিনি। কারণ ওটার মধ্যে ঠিক আবেগটা আসে না, ব্যাপারটা জমে না। এটা তো গ্রামের গরিব মা মেয়েদের আন্দোলন। যে আন্দোলন টিভিতে দেখায়, শহুরে মহিলারা সেই আন্দোলনেই যান। আগে ঘর সামলান। নিজের ঘর সামলান।'

    এর আগে গত ১৪ অগস্ট মধ্য়রাতে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে উদয়ন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছিলেন, 'দিনহাটার কেউ কেউ কাল রাতের দখল নিতে চাইছেন। আমার সমর্থন থাকল। তবে স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে রাতে ফোন করবেন না।' উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। তারপর নাগরিক সমাজ রাতের দখল নিতে রাস্তায় নেমেছিল। সেই সময় সরাসরি এই কর্মসূচির বিরুদ্ধে মুখ না খুললেও তৃণমূল কংগ্রেস বুঝিয়ে দেয় যে তারা মনে করছে, এই আন্দোলন আদতে বিরোধীদের মদতে সরকারের বিরুদ্ধে করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন নেতা নানান মন্তব্য করেছিলেন। পরে ১৪ তারিখ সন্ধ্যায় মমতা খোদ বাম-রামকে তোপ দেগেছিলেন। গতকাল নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বি ম্যাচ বাতিল করা হয়েছিল। যা ঘিরে গোটা শহর উত্তাল হয়। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও ইএম বাইপাস ৪ ঘণ্টার জন্যে স্তব্ধ করে দেন প্রতিবাদীরা। সিনেমা জগতের তারকারা শ্যামবাজারে মিছিল করেছিলেন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)