• ফুটবলপ্রেমীদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ, মামলা হাইকোর্টে
    এই সময় | ১৯ আগস্ট ২০২৪
  • ফুটবলপ্রেমীদের উপর কেন লাঠি চার্জ করা হল? ডার্বি বাতিলের পর যুবভারতীর সামনে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট না করা হলেও কেন নির্বিচারে লাঠিচার্জ করতে হল পুলিশকে? উঠছে অভিযোগ। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আবেদন আইনজীবী ঋজু ঘোষালের। মামলা দায়ের করার অনুমতি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। আগামীকাল, মঙ্গলবার মামলার শুনানি।অশান্তি হওয়ায় আশঙ্কায় রবিবারের ডার্বি ম্যাচ বাতিল করা হয়। যুবভারতীর সামনে জারি করা হয় ১৬৩ বিএনএস। ডার্বি বাতিলের পরেও আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদ জানাতে হাজার হাজার ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান সমর্থকরা যুবভারতীর সামনে হাজির হন। বচসা, ধস্তাধস্তি থেকে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা শুরু হয় যুবভারতী চত্বরে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ময়দানের ৩ প্রধান দলের সমর্থকদের উপর পুলিশের লাঠি চার্জ শুরু হয়। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। কিন্তু, কোনও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর বা নষ্ট না করা হলেও পুলিশ কেন এত সক্রিয় ছিল। বিষয়টি নিয়ে বিধাননগর পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের জবাব তলব করা হোক এই আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ আইনজীবী।

    রবিবার বিকেলে কাদাপাড়ার কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পুলিশ সেখান থেকে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও প্রতিহত করেন আন্দোলনকারী। আন্দোলনকারীদের দাবি, এরপর পুলিশ তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করে। একাধিক ফুটবলপ্রেমী আহত হন বলেও দাবি তাঁদের। বেশ কিছু বিক্ষোভকারীদের আটক করা হয়।

    তবে আন্দোলনকারীদের তরফে দাবি করা হয়েছে, অশান্তির আশঙ্কায় পর্যাপ্ত পুলিশ দিতে না পারার অজুহাত দেখিয়ে ডার্বি বাতিল করা হয়েছে। তাহলে, প্রতিবাদ আটকাতে এত পুলিশ এল কোথা থেকে? আন্দোলনকারীদের হটাতে যে পরিমাণ পুলিশ ছিল, সেটাকে কাজে লাগিয়েই তো নির্বিঘ্নে ডার্বি ম্যাচের আয়োজন করা যেতো, বলে দাবি তাঁদের। সেই কারণেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে ডার্বি বাতিল হওয়ার পরেও যুবভারতীর সামনে হাজির হন বিভিন্ন ক্লাবের সমর্থকরা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ক্লাবের সমর্থকরা একযোগে প্রতিবাদ দেখান আরজি করের ঘটনা নিয়ে।
  • Link to this news (এই সময়)