'রাজপথের ডার্বি'-তে যোগ দিয়ে 'নিখোঁজ' ইস্টবেঙ্গল সমর্থক, হাইকোর্টে পরিবার
এই সময় | ১৯ আগস্ট ২০২৪
রবিবার রাজপথে ডার্বিতে দেখা গিয়েছিল হরেক রং। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে লাল হলুদ, সবুজ মেরুন মিলে মিশে একাকার হয়েছিল। রবিবার ঘটি-বাঙাল একস্বরে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে 'জাস্টিস ফর আরজি কর'-এর দাবি তুলেছিল। আর এই 'ব্যতিক্রমী ডার্বি'-তে প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন সাঁতরাগাছির বাসিন্দা রজতশুভ্র নন্দী। তিনি মনে প্রাণে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু, রবিবার লাল-হলুদের প্রতি টান বুকে জড়িয়ে তিনি অন্যান্যদের সঙ্গে একসুরে প্রতিবাদ করছিলেন। যদিও তারপর আর খোঁজ মেলেনি রজতশুভ্রর, এই দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টের দরজায় কড়া নেড়েছিল তাঁর পরিবার।সোমবার প্রধান বিচারপতির কাছে দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁর পরিবারের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। সেই অনুমতি দেওয়া হয়। আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, অনেককেই পুলিশ আটক করেছে। সাঁতরাগাছি থেকে আটক করা হয় রজতশুভ্র নন্দীকে, আদালতে দাবি করেন তিনি। শুনানিতে রাজ্যকে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, কিছুক্ষণের মধ্যেই আটক ইস্টবেঙ্গল সমর্থককে ছেড়ে দেওয়া হবে। রাজ্য জানায়, বিধাননগর পুলিশের তরফ থেকে জানানোর পরেই তাকে আটক করে বি গার্ডেন পুলিশ।
এ দিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের আইনজীবী অমিতেশ মুখোপাধ্যায় জানান, বিক্ষোভের জায়গা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া সমর্থকদের 'ব্যক্তিগত বন্ড'-এ মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। তিনি জানান, আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। কিছুটা সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।
আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল গোটা দেশ। রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে চলছে আন্দোলন। চিকিৎসা পরিষেবার উপর প্রভাব পড়ার অভিযোগ উঠছে। আর এর ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে এবং আদালতের হস্তক্ষেপের দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন চিকিৎসক কুণাল সাহা। তিনি আর্জি জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন না মেনে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এর ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। অবিলম্বে তাঁদের কাজে ফিরতে নির্দেশ দিক আদালত। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।