• ‘রোগীমৃত্যু হলে…’, আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের ‘হুঁশিয়ারি’ সাংসদ অরূপের
    প্রতিদিন | ১৯ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে তোলপাড় গোটা দেশ। সুবিচারের দাবিতে আন্দোলন সরব প্রায় প্রত্যেকে। প্রায় দশদিন ধরে কর্মবিরতিতে শামিল চিকিৎসকেরা। ব্যাহত সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের হুঁশিয়ারি বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তীর। তাঁর মন্তব্য নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। সমালোচনার সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা।

    রবিবার আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ সভামঞ্চ থেকে আন্দোলনকারীদের চিকিৎসকদের হুঁশিয়ারি দেন বাঁকুড়ার সাংসদ। তিনি বলেন, “যদি বিনা চিকিৎসায় কোনও রোগীর মৃত্যু হয় তবে জনরোষ তৈরি হবে। গ্রামের মানুষ দৌড়ে আসবেন হাসপাতালে হাসপাতালে। তখন কিন্তু আমরা রক্ষা করতে পারব না। তাই আপনাদের করজোড়ে বলতে চাই আন্দোলন একটা সংগ্রাম। প্রতিবাদ একটা সংগ্রাম। কিন্তু প্রতিবাদের নামে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা, রাজনৈতিক রং লাগানো, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুৎসা রটানোর চেষ্টার যে চক্রান্ত চলছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।” মঞ্চ থেকে নেমেও নিজের অবস্থানে অনড় তৃণমূল সাংসদ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি আরও বলেন, “জনরোষ হবেই। ডাক্তাররা যদি অবরোধের নাম করে বাড়ি চলে যায়। পুরুষবন্ধু নিয়ে ঘুরতে যায়। রোগীমৃত্যু হলে মানুষ কী ছেড়ে দেবে?”

    আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পাশাপাশি এদিন পুলিশকেও সতর্ক করেন সাংসদ। বলেন, “পুলিশকে সতর্ক করে বলতে চাই আইনমাফিক কাজ করুন। ব্যাঙের মুখে চুম, সাপের মুখ চুম। বিজেপিকে তুলবেন, সিপিএমকে সাহায্য করবেন। মিটিং মিছিল করার সুযোগ করে দেবেন, এটা বেশিদিন চলবে না। মনে রাখবেন আপনাকে রাজ্য সরকারের অধীনে চাকরি করতে হবে। নিরপেক্ষ ভূমিকায় থাকতে হবে।” একজন সাংসদ কীভাবে এমন কথা বলতে পারেন, তা নিয়ে বিরোধী শিবিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, “কে কার বন্ধুকে নিয়ে যাচ্ছে, মহিলারা কোথায় যাচ্ছেন, তা তৃণমূল ঠিক করবে? মধ্যযুগীয় বর্বরতা ছাড়া এটা আর কিছু নয়। সমাজের দিকে তাকান। সকলের নিরাপত্তার দিকে নজর দিন।” বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা এই মন্তব্যের বিরোধিতায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে ওষুধ নেই, উপযুক্ত সরঞ্জাম নেই। সেসব নিয়ে কেন কথা বলেন না তো কোনদিন? আসলে বুঝে গিয়েছেন আর জি করের আগুন বাংলার চারিদিকে ছড়িয়ে গিয়েছে। তৃণমূল ভয়ে পেয়ে এবার চিকিৎসকদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)