আর জি কর কাণ্ডে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ, লালবাজারের তলবে ‘চ্যালেঞ্জ’ কুণাল সরকারের
প্রতিদিন | ১৯ আগস্ট ২০২৪
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন মামলায় মৃতার পরিচয় প্রকাশ ও সোশাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর অভিযোগ। কলকাতা পুলিশের তলবের মুখে দুই বিশিষ্ট, খ্যাতনামা চিকিৎসক। সোমবার তাঁদের লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এদিন লালবাজারে (Lalbazar) হাজিরা দিতে যাওয়ার আগে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে মিছিল করেন ডাঃ কুণাল সরকার, ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামীর সমর্থকরা। শামিল হন অন্যান্য বিশিষ্ট চিকিৎসকরা। মিছিল থেকে ডাঃ কুণাল সরকার রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সুরে জানান, প্রশ্নের জবাব দেওয়ার মতো স্বচ্ছতা, মানসিক জোর তাঁদের আছে। আর জি কর কাণ্ড নিয়ে তাঁদের সরব হওয়ার পিছনে কোনও দূরভিসন্ধি ছিল না।
কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনার পর থেকেই গর্জে উঠেছে চিকিৎসক মহল। সোশাল মিডিয়া (Social Media)ভরে গিয়েছে একাধিক প্রতিবাদী পোস্ট, প্রশাসন, হাসপাতালের সমালোচনায়। বিশিষ্ট চিকিৎসক তথা সমাজকর্মী হিসেবে খ্যাত ডাঃ কুণাল সরকার, ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী, ডাঃ রাজা ধরও এনিয়ে সরব হয়েছেন। আর ঘটনার তদন্তে নেমে লালবাজারের নজরে তাঁদের সেসব পোস্ট। সোশাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এই তিন বিশিষ্ট চিকিৎসককে তলব করে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। সোমবার তাঁদের হাজিরা দেওয়ার নির্দিষ্ট দিন।
এমন স্পর্শকাতর ইস্যুতে বিশিষ্ট ও নামী চিকিৎসকদের এভাবে সরাসরি পুলিশি তলবে ক্ষুব্ধ কলকাতার চিকিৎসক মহল। ডাঃ কুণাল সরকার, ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামীদের হয়ে তাই সুর চড়িয়েছেন তাঁদের শুভানুধ্যায়ীরা। এদিন কলকাতা মেডিক্যালের সামনে থেকে চিকিৎসকরা একটি মিছিল করে লালবাজারের সামনে পৌঁছন। তিন চিকিৎসক হাজিরা দিতে ঢুকবেন ভিতরে। তাঁরা বাইরে অপেক্ষা করবেন প্রতীকী প্রতিবাদ স্বরূপ। তাঁদের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, তলব করে চিকিৎসকদের দমানো যাবে না। ভয় দেখালে চিকিৎসকদের প্রতিবাদ আরও ধারালো হবে।
সেই মিছিলের শুরুতেই ডাঃ কুণাল সরকার বলেন, ”এটা বিভেদের সময় নয়। আমাদের যে কারণে পুলিশ ডেকে পাঠিয়েছে, সেই প্রশ্নোত্তর হোক। প্রশ্নের জবাব দেওয়ার মতো মানসিক স্বচ্ছতা, বুদ্ধি আমাদের আছে। এসব নিয়ে কিছু বক্তব্য রাখার সময় আমাদের মনে কোনও দূরভিসন্ধি ছিল না। তাই যা প্রশ্ন হবে, জবাব দেব। কিন্তু পাশাপাশি সরকারকেও বলতে চাই, চিকিৎসকরা অনেক কষ্ট করে পরিষেবা দেন। সরকারি-বেসরকারি সমস্ত হাসপাতালে তাঁদের যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক।” আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন কর্মবিরতি করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তার জেরে পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। তবে এদিন তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি কুণাল সরকার।