শনিবার থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আরজি কর নিয়ে একাধিক উল্লেখযোগ্য পোস্ট করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁকে দু'বার তলব করেছিল কলকাতা পুলিশ। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে এই আশঙ্কা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এই সাংসদ। এবার এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করলেন তিনি।‘জাস্টিস ফর আরজি কর এখন সময়ের দাবি', এই দাবি করেছেন সুখেন্দুশেখর। তিনি বলেন, ‘সকলের কাছে একটাই আবেদন, যা করবেন শান্তিপূর্ণভাবে করুন। এই আন্দোলন দেখে আমি অনুপ্রাণিত। এর থেকে সকলের শিক্ষা নেওয়া উচিত। যদি কোথাও অত্যাচার হয় তার বিরুদ্ধে কী ভাবে বিক্ষোভ হয় তা আমরা দেখেছি। আমার ৫৮ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এই ধরনের ঘটনা দেখিনি। এই ধরনের পাপ হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’
এ দিন সুখেন্দুশেখর রায়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে রাখি পরান কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চট্টোপাদ্যায়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল তাঁর বাড়িতে যান। তাঁদের হাতে ছিল 'জাস্টিস ফর আরজি কর' লেখা রাখি। কালো রঙের উপর সাদা হরফে লেখা ছিল শব্দগুলো।
এ দিন আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আমাদের মহিলা সদস্যরা ওঁকে রাখি পরিয়েছেন। এতে কোনও রাজনীতি নেই। আরজি করের ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক প্রভাব ছাড়া তদন্ত হোক এবং দ্রুত দোষীরা শাস্তি পাক, এমনটাই চাইছি আমরা।'
শনিবার রাত থেকেই সুখেন্দুশেখরের এক্স হ্যান্ডলের পোস্ট নিয়ে রাজ্য রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। তিনি একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, 'সিবিআইকে স্বচ্ছভাবে তদন্ত করতে হবে। কে বা কারা আত্মহত্যাক তত্ত্ব খাড়া করার চেষ্টা করেছিল? তা জানার জন্য আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে।' ঘটনার তিনদিন পর কেন স্নিফার ডগ ব্যবহার করা হল? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। যদিও কলকাতা পুলিশের বক্তব্য, আরজি করের ঘটনায় ৯ এবং ১২ অগস্ট ক্রাইম স্পটে স্নিফার ডগ নিয়ে যাওয়া হয়।
লালবাজারের তলবের মধ্যে এবং হাইকোর্টে আবেদনের আগে এক্স হ্যান্ডলে রবি ঠাকুরের 'আমি ভয় করব না' গানের ক্লিপ পোস্ট করেন সুখেন্দু। তাঁর এই পোস্ট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।