• নন্দীগ্রামে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল, নির্যাতিতাকে আনা হলো কলকাতায়
    এই সময় | ১৯ আগস্ট ২০২৪
  • এই সময়, নন্দীগ্রাম: জমি বিবাদের পাশাপাশি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় মহিলার পোশাক ছিঁড়ে প্রায় বিবস্ত্র করে গ্রামে হাঁটানোর অভিযোগ উঠেছিল। সে খবর পেয়ে রবিবার নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন তাঁরা। এর পরে উন্নত চিকিৎসার জন্যে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হলদিয়া আদালত ধৃতদের এক জনকে পুলিশ হেফাজত ও পাঁচ জনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।রবিবার দুপুরে রাজ্য তৃণমূলের প্রতিনিধি দল গোকুলনগরে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে ঘটনার খোঁজ করার পাশাপাশি নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে গিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ নেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন মন্ত্রী শিউলি সাহা, বিরবাহা হাঁসদা, সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, সায়নী ঘোষ, উত্তরা সিং, দোলা সেন, কুণাল ঘোষ ও দেবাংশু ভট্টাচার্য।

    কুণাল ঘোষ বলেন, ‘শুধু তৃণমূল করার অপরাধে মহিলার ওপরে এমন নৃশংস ও অমানবিক অত্যাচার করেছে বিজেপির লোকেরা। বিবস্ত্র করে মারধর করার পাশাপাশি তাঁর বছর ১৩-র নাবালিকা মেয়ের ওপরও নির্যাতন চালানো হয়েছে। ৩০ জন মিলে মহিলার ওপরে অত্যাচার চালিয়েছে।’

    মন্ত্রী শিউলি সাহা বলেন, ‘এখনও নির্যাতিতা ও তাঁর নাবালিকা মেয়ে ট্রমায় রয়েছেন। শরীরে মারের দাগ বোঝা যাচ্ছে। ওঁর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন বলেই আমরা কলকাতা নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

    দোলা সেন বলেন, ‘শুধু জমি বিবাদ নয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই এই হামলা। আমরা পুলিশের কাছে নির্যাতিতার ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়ে দেখতে বলেছি।’

    বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য অভিজিৎ মাইতি বলেন, ‘দুই পরিবারের বিবাদে রাজনীতির রং লাগিয়ে মিথ্যা মামলায় বিজেপি কর্মীদের ফাঁসাতে চাইছে তৃণমূল। আমরাও চাই ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক।’
  • Link to this news (এই সময়)