• গভীর রাতে সরকারি হাসপাতালে ঢুকে TMC নেতার তাণ্ডব, চিকিৎসককে মারধর, খুনের হুমকি
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর মেডিক্যালের ঘটনার পর যখন গোটা বিশ্বজুড়ে কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি উঠেছে তখন হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে রবিবার রাত্রিকালীন ডিউটি চলার সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং নার্সদের ওপর হামলা চালালো এলাকার তৃণমূলের এক নেতা। অভিযোগ অবিনাশ দাস নামে ওই নেতা হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে রবিবার রাত্রি এগারোটা নাগাদ নার্সিং স্টেশনে ঢুকে হঠাৎ করে কর্তব্যরত নার্সদের অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করেন। অশ্রাব্য গালিগালাজ শুরু করেন নার্সদেরকে। এমনকি সেখানে উপস্থিত মেডিকেল অফিসার প্রভাকর সাহা ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। উপস্থিত নার্সদেরকে খুনের হুমকি দেন ওই নেতা।

    আরো অভিযোগ, নার্সদের দিকে তিনি শারীরিক নিগ্রহ করতে তেড়ে যান। যদিও সেখানে উপস্থিত চিকিৎসক এবং জিডিএ কর্মীরা ওই নেতাকে আটকে দেন। এরপরই খবর দেওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। ঘটনার খবর পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। আইসি সঙ্গে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে।

    এই ঘটনার পর থেকে মালদা জেলার সরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসক ও নার্সদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আতঙ্কে রয়েছেন নার্স ও চিকিৎসকরা। ইতিমধ্যেই হাসপাতালের পক্ষ থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রভাকর সাহা বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি এক রোগীর খোঁজ করতে এসে আমার সঙ্গে অশালীন ভাষায় কথা বলতে শুরু করেন। উপস্থিত নার্সদেরকেও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমি এর প্রতিবাদ করলে আমাকে মারধর করা হয়। এরপর সেখানে উপস্থিত নার্সদেরকেও তিনি মারতে যান। আমরা তাতে বাধা দিই। এরপরই ওই ব্যক্তি আমাদেরকে খুনের হুমকি দেয়। আমরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।

    প্রসঙ্গত অবিনাশ দাস নামে ওই তৃণমূল নেতাকে হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী এবং হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীন হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তাজমুল হোসেনের সঙ্গে আরজিকর কাণ্ড ঘটনার প্রতিবাদ মিছিলে এক সঙ্গে হাঁটতে দেখা গিয়েছে। যদিও অন্যদিকে তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির সাফাই অভিযুক্তের সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। আইন আইনের পথেই চলবে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তাদের দাবি, এলাকায় শাসক দলের মাস্তানদের পিছনে শাসক দলের মন্ত্রীর হাত রয়েছে। অবিলম্বে ওই নেতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন বিরোধীরা। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)