রাজ্যের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শাসকদল তৃণমূল কি পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার ইঙ্গিত পাচ্ছে? সোমবার শাসকদলের বক্তব্যে খানিকটা তেমনই ‘শঙ্কা’ ধরা পড়েছে বলে অভিমত অনেকের। তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলের নেতা কুণাল ঘোষ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের উদ্দেশে একাধিক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, নির্বাচিত রাজ্য সরকারকে ‘বিড়ম্বিত’ করতে রাজ্যপালের উপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে। বিজেপির উপরতলা থেকে চাপ তৈরি করে রাজ্যপালকে দিয়ে কিছু করানো হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল।
কুণাল বলেন, ‘‘আমাদের কাছে সূত্রের খবর রয়েছে, রাজ্যপালের উপর বিজেপির উপরতলার চাপ আছে নির্দিষ্ট কিছু সুপারিশ করে দিল্লিতে পাঠানোর। রাজ্যপাল বলুন, তা ঠিক কি না।’’ কুণালের আরও বক্তব্য, নির্বাচিত সরকারকে ‘বিড়ম্বিত’ করার চেষ্টা হচ্ছে কি না তা রাজ্যপাল প্রকাশ্যে এসে বলুন। তৃণমূলের এ-ও অভিযোগ, রাজ্যপাল যা করছেন বা করতে চলেছেন, তাতে রাষ্ট্রপতিকেও জুড়ে নেওয়া হতে পারে। যদিও রাজভবন থেকে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি সোমবার রাত পর্যন্ত।
রাজ্যপাল দিল্লিতে গিয়েছেন। এবিপি নিউজ়কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘রাজ্য পুলিশ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমি রিপোর্ট তৈরি করেছি। কিন্তু প্রকাশ্যে তা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। তবে যথাস্থানে জানাব।’’ রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার বিষয় নিয়েও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল। ওই সাক্ষাৎকারেই তিনি বলেছেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে আমি বলতে পারব না। তবে আমার কথা আমি সঠিক জায়গায় বলব।’’ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছেন। এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতিকে আমি কী বলব, তা প্রকাশ্যে জানাব না। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের তথা সমাধানের বিষয়টি সংবিধানেই রয়েছে। সংবিধান অনুযায়ীই আমি বিবেচনা করছি এবং দ্রুত আমার রিপোর্ট আমি জমা দেব।’’