৯ অগস্ট শুক্রবার। আরজি কর হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার। সহকর্মীর নৃশংস খুনের ঘটনায় ক্ষোভ ফেটে পড়লেন ডাক্তাররা। নিরাপত্তা নিয়ে উঠল প্রশ্ন। এরপর ১৪ অগস্ট বুধবার মধ্যরাত। আরজি করে আচমকা তাণ্ডব চালাল দুষ্কৃতীরা। তাণ্ডবের মাঝে পুলিশ কর্মীদের অসহায় হয়ে নিরাপদ আশ্রয় নিতে হয়েছে। ফের প্রশ্ন উঠল নিরাপত্তা নিয়ে।চিকিৎসকরা প্রশ্ন তুলেছেন তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে। কলকাতা পুলিশও বোঝানোর চেষ্টা করছে তাদের নিরলস প্রচেষ্টার ব্যাপারে। অদৃশ্য দূরত্ব তৈরি হয়েছিল কি? সোমবার দেখা গেল অন্য চিত্র। পাশে থাকার, রক্ষা করার অঙ্গীকার নিয়ে একে অপরের হাতে পরিয়ে দিলেন রাখি। মৈত্রীর সুতোতে বাঁধা হল নতুন পর্ব। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের হাতে রাখি পরিয়ে দিয়ে সুরক্ষার বার্তা দিলেন পুলিশ কর্মীরাই।
সোমবার ছিল রাখি পূর্ণিমা। বোন-দিদিদের অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা করার শপথ নিয়ে পালিত হয় এই অনুষ্ঠান। গত কয়েকদিনের ঘটনাপ্রবাহ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, সমাজে নারীদের সুরক্ষার দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে পুরুষদেরই। সমমর্যাদায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে হবে কুকর্ম রুখতে। রাজ্য জুড়ে সেই লড়াইয়ের উদযাপন হয়েছে এবারের রাখি পূর্ণিমার দিনেও।
কলকাতা পুলিশের তরফে শহরের বিভিন্ন জায়গায় রাখি বন্ধন উৎসব পালন করা হয়। বাদ যায়নি আরজি কর হাসপাতালও। হাসপাতালের নীচেই মঞ্চ বেঁধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। দাবি স্পষ্ট, বিচার চাই-নিরাপত্তা চাই। সেখানেই চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ কর্মীরা একে অপরের হাতে পরিয়ে দিলেন রাখি। শপথ নিলেন নতুন করে লড়াই শুরু করার।
উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট সকালে আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় মৃত চিকিৎসকের দেহ। তাঁর সঙ্গে হওয়া নারকীয় ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। প্রতিবাদ চলেছে রাজ্য তথা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন। অন্ধকার সুড়ঙ্গের শেষে এক চিলতে আলো দেখার অপেক্ষায় সবাই।