• নার্সদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করে গ্রেপ্তার, জেল হেফাজত তৃণমূল নেতার
    এই সময় | ২০ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। এর মাঝেই কর্তব্যরত নার্সদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ, মেডিক্যাল অফিসারকে মারধরের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনা মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুরে। অভিযুক্ত ব্যক্তি স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালতে তোলা হলে ৭ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে রবিবার রাত্রিকালীন ডিউটি চলার সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং নার্সদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূলের নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, অবিনাশ দাস নামে ওই নেতা হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে মঙ্গলবার রাত এগারোটা নাগাদ নার্সিং স্টেশনে ঢুকে হঠাৎ করে কর্তব্যরত নার্সদের দিকে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করেন।

    তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, অশ্রাব্য ভাষায় নার্সদের উদ্দেশে গালিগালাজ শুরু করেন তিনি। এমনকী সেখানে উপস্থিত মেডিক্যাল অফিসার প্রভাকর সাহা ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাঁকেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। উপস্থিত নার্সদেরকে খুনের হুমকি দেন ওই নেতা বলেও অভিযোগ।

    পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সেখানে উপস্থিত চিকিৎসক এবং জিডিএ কর্মীরা ওই নেতাকে আটকে দেন। এরপরই খবর দেওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। ঘটনার খবর পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঙ্গে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরজি করে ঘটনার পরেই হাসপাতালে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। ফের একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবার মালদা জেলায়।

    ঘটনায় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা বলেন, ‘চিকিৎসকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছেন। তাঁদের উপরে আক্রমণ করা লজ্জাজনক ঘটনা। যে বা যারা এই ঘটনায় জড়িত প্রশাসন তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিক। দল কোনওভাবেই এই অন্যায় মেনে নেবে না।’ অন্যদিকে, জেলা বিজেপি সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলেন, ‘তৃণমূলের অপর নাম হচ্ছে দুষ্কৃতী এবং সন্ত্রাস করা এদের কাজ। সন্ত্রাস না করলে দলটাই থাকবে না। এখানেই সেই প্রমাণ পাওয়া গেল।’
  • Link to this news (এই সময়)