নারায়ণ সিংহরায়: সিগন্যাল বিভ্রাট? ফের একই লাইনে দুটি ট্রেন! অল্পের জন্য় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল দিল্লি-ডিব্রুগড় রাজধানী এক্সপ্রেস। যাত্রীদের মধ্যে তুমুল আতঙ্ক। ঘটনাটি ঘটেছে এনজেপি-র থেকে আড়াই কিমি দূরে সাহুডাঙ্গির কাছে।
ঘটনাটি ঠিক কী? সামনে মালগাড়ি, আর পিছনে দিল্লি-ডিব্রুগড় রাজধানী এক্সপ্রেস। একই লাইন দিয়ে যাচ্ছিল দুটি ট্রেন। সাহুডাঙ্গির কাছে হঠাত্-র দাঁড়িয়ে পড়ে
পড়ে মালগাড়িটি। কেন? রেল সূত্রে খবর, মালগাড়িটির ইঞ্জিনের সমস্যা দেখা দিয়েছিল।
এদিকে একই লাইনে তখন ছুটে আসছে রাজধানী এক্সপ্রেস। বিপদ বুঝে মালগাড়ির গার্ড তড়িঘড়ি লাল পতাকা দেখান রাজধানীকে। ব্রেক কষে ট্রেন দাঁড় করান রাজধানী চালক। প্রবল ঝাঁকুনি হয় কামরায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, 'হঠাৎ দেখি ঝাঁকুনি দিয়ে রাজধানী ট্রেন থেমে গেল। ওই লাইনেই তাকিয়ে দেখি সামনে একটি তেলের ট্যাংকার দাঁড়িয়ে। গার্ড লাল ঝান্ডা দেখাচ্ছেন'।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানিয়েছেন, 'স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থায় একই লাইনে দুটি গাড়ি থাকতেই পারে। এক্ষেত্রে নিয়মটা হচ্ছে প্রায় এক কিলোমিটারের ব্যবধান থাকবে দুটি গাড়ির মধ্যে। সাহুডাঙ্গির ঘটনায় , মালগাড়ির ইঞ্জিনে কোন সমস্যা হওয়ায় গাড়িটি সেখানে দাঁড়িয়ে যায়। একই লাইনে রাজধানী ছিল , সেও দাঁড়িয়ে পড়ে'।
এর আগে, হাওড়া বর্ধমান কর্ড শাখায় শিবাইন্ডী স্টেশনে একই লাইনে চলে এসেছিল বন্দে ভারত আর লোকাল ট্রেন! কেউ একজন ভিডিয়ো তুলে আপলোড করে দিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিয়ো রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছিলেন, 'অটোমেটিক সিগন্যাল জোনে' এগুলি হয়। তাঁদের কাছেও প্রায় দিনই খবর আসে একই লাইনে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকার। তবে এটা কোনও বড় বিষয় নয়।