আর জি করের দোষী কে? উত্তর খুঁজতে সিবিআইয়ের দলে হাথরসের তদন্তকারী অফিসার
প্রতিদিন | ২০ আগস্ট ২০২৪
অর্ণব আইচ: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে দেশ। ইতিমধ্যেই এই নারকীয় কাণ্ডের তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এবার সিবিআইয়ের তদন্তকারী দলে যুক্ত হলেন উত্তরপ্রদেশের হাথরস কাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার সীমা পাহুজা। জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে সিবিআইয়ের প্রায় ৬৫ জন আধিকারিক এসেছেন কলকাতায়।
তদন্ত শুরু করার পর থেকে অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে টানা জেরা করছে সিবিআই। এই বীভৎস ও নারকীয় ঘটনার পিছনে সঞ্জয় ছাড়াও একাধিক ব্যক্তি রয়েছে কি না, তদন্তে সেই ব্যাপারেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। সোমবার তাঁকে চতুর্থ বারের জন্য ডেকে পাঠানো হয় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। গত ৯ আগস্টের এই ঘটনার তদন্তে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে। যদিও সিবিআইয়ের হাতে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হননি। কিন্তু এবার জানা গিয়েছে, হাথরসের ঘটনায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী দলের নেতৃত্ব দেওয়া তৎকালীন ডিএসপি সীমা পাহুজাকে আর জি করের ঘটনার তদন্তকারী দলে যুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে, সিবিআইয়ের হাতে আর জি কর কাণ্ডের তদন্তভার যাওয়ার পর দিল্লি থেকে ক্রমে ৬৫ জনের একটি দল কলকাতায় এসেছে। দিল্লি থেকে নিয়ে আসা হয়েছে কিছু প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও কম্পিউটারও। মোবাইলের কল, হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ ও কলের উপর নজরদারি করার জন্যই এই যন্ত্রগুলো এখন ব্যবহার করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়। দুসপ্তাহ লড়াইয়ের পর হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। রাজনৈতিক চাপানউতোরও তৈরি হয় বিস্তর।