• ‘‌পুলিশকে সাহায্য করা হবে’‌, লালবাজার থেকে বেরিয়ে জানিয়ে দিলেন দুই চিকিৎসক
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাজ্যজুড়ে পথে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন এই নারকীয় ঘটনার বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাতে বিপাকে পড়ছেন রোগীরা। এই আবহে আজ, সোমবার দুই চিকিৎসক কুণাল সরকার এবং সুবর্ণ গোস্বামীকে তলব করেছিল লালবাজার। কারণ তাঁরা ভিত্তিহীন এবং গুজব খবর ছড়িয়ে ছিলেন। আজ লালবাজারে এসে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। আর তারপর বেরিয়ে সাংবাদিকদের জানান, সদর্থক ভূমিকা নিক পুলিশ। প্রয়োজনে কলকাতা পুলিশকে সবরকম সাহায্য করা হবে। প্রায় এক ঘণ্টা পরে লালবাজার থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা।

    আজ, সোমবার রাতে নয়াদিল্লি পৌঁছে মঙ্গলবার সকালে রাজ্যপাল বৈঠক করবেন অমিত শাহের সঙ্গে বলে সূত্রের খবর। এই আবহে আজ লালবাজারে আসেন সিবিআই অফিসাররা। তবে লালবাজার থেকে বেরিয়ে দুই চিকিৎসক বলেন, ‘‌সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কথা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে কী ভুল ছিল সেটা জানিয়েছি। যদি আমাদের পক্ষ থেকে কোনও পরামর্শের প্রয়োজন হতো, তবে ফোন করে বা চিঠি দিয়ে ডাকা যেত। সমন পাঠাতে হল কেন? এটা অন্যান্য চিকিৎসকরা মোটেই ভালভাবে নিচ্ছেন না।’‌


    আজ, সোমবার নির্যাতিতার বাড়িতে যান সিবিআই অফিসাররা। এমনকী আরজি কর হাসপাতালেও গিয়েছিলেন অফিসাররা। আজ কেন সিবিআই অফিসাররা গিয়েছিলেন?‌ সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সোমবার চতুর্থবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। কেন বারবার সন্দীপকে তলব করা হচ্ছে?‌ কোন তথ্য হাতড়াচ্ছেন সিবিআই অফিসাররা?‌ এতগুলি দিন কেটে গেলেও আরজি কর হাসপাতালের নারকীয় ঘটনার কিনারা করতে পারেননি সিবিআই অফিসাররা। সুবর্ণ গোস্বামীর বক্তব্য, ‘‌কলকাতার পরিস্থিতি শান্ত এবং স্বাভাবিক করতে লালবাজার তাঁদের সাহায্য চেয়েছে। এই বিষয়ে প্রয়োজনে পুলিশকে সাহায্য করা হবে।’‌ যা সদর্থক দিক বলে মনে করা হচ্ছে।

    যদিও পাঁচদিন কেটে গেলেও সিবিআই তদন্ত এখন প্রশ্নের মুখে। কারণ এখনও কোনও গ্রেফতার হয়নি। বড় কোনও তথ্যপ্রমাণও সামনে নিয়ে আসতে পারেননি তদন্তকারীরা। এতে এখন পরিস্থিতি জটিল হতে পারে। এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ পুলিশ ১২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছিল। সেখানে সিবিআই ৬দিন নিল। কোনও ফল সামনে এলো না। চিকিৎসক কুণাল সরকারের কথায়, ‘‌মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের সদর্থক ভূমিকা নেওয়া উচিত।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)