• ঝুলনের শেষ দিনে রাজবেশে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু
    বর্তমান | ২০ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: সোমবার ঝুলন পূর্ণিমার শেষ দিনে ধামেশ্বর গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে রাজবেশ পরানো হয়। সাজানো হয়েছিল প্রায় ২০০ ভরি সোনার গয়নায়। মাথায় মোহন চূড়া, গলায় মকর মালা, সোনার চিক, প্রজাপতি হার, ময়ূর হার, গৌরাঙ্গ হার, সোনার কানপাশা, সোনার কানের বালা পরানো হয়। হাতে ছিল বাজু, বালা, চরণে পঞ্চম ও নূপুর। হাতে দেওয়া হয় রুপোর রাজদণ্ড। অপরূপ সাজে মহাপ্রভুকে দেখতে পূর্ণিমার সকাল থেকেই মন্দিরে ভিড় করেছিলেন অসংখ্য ভক্ত ও দর্শনার্থী। মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয় হিন্দোল কীর্তন। প্রথা মেনে প্রতিপদ থেকে শুরু হয়েছিল এক পক্ষকাল ব্যাপী ধামেশ্বর গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর মন্দিরে ঝুলন উৎসব। এদিন পূর্ণিমা থাকা পর্যন্ত ঝুলনে দোলানো হয় গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে। 


    এদিন গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে ভোগে দেওয়া হয় ক্ষীর, নানা রকমের মিষ্টি। দুপুরে পঞ্চব্যঞ্জন সহ অন্ন ভোগ। বিকেলে ছানা, মিষ্টি এবং রাতে লুচি, মালপোয়া, তালের বড়া, পিঠে, নাড়ু। পুজোর পর ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিলি করা হয়। নবদ্বীপ বিষ্ণুপ্রিয়া সমিতির সভাপতি সুদিনকুমার গোস্বামী বলেন, রাধা কৃষ্ণের মিলিত তনু গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু। তাই শ্রীকৃষ্ণের ঝুলন যাত্রার আগেই শুরু হয় গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর ঝুলন। প্রতিপদ থেকে ঝুলন পূর্ণিমা পর্যন্ত গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে রুপোর সিংহাসনে রাখা হয়। একাদশী থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত ঝুলনের শেষ পাঁচদিনের প্রতিদিনই নিত্যনতুন রকমারি পোশাক পরানো হয়েছিল। ঝুলনের শেষদিন প্রভুকে রাজবেশে সুসজ্জিত করা হয়। সকাল থেকে চলে মন্দিরে হিন্দোল কীর্তন। রাতে ঝুলন কীর্তনের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় ঝুলন উৎসব।


    গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু মন্দিরের অন্যতম সেবাইত প্রদীপকুমার গোস্বামী বলেন, এদিন ঝুলন পূর্ণিমার শেষ দিন, তাই গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে প্রায় ২০০ ভরি সোনার গয়নায় সাজানো হয়। 
  • Link to this news (বর্তমান)