• গোলমরিচ চাষ করে বাড়তি আয়ে জোর জলপাইগুড়িতে
    বর্তমান | ২০ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: বাড়তি আয়ে জোর দিচ্ছে রাজ্য। জলপাইগুড়িতে বিনামূল্যে উন্নতমানের গোলমরিচ চারা দিচ্ছে উদ্যানপালন দপ্তর। সঙ্গে উৎসাহীরা পাবেন সরকারি অনুদান। উদ্যানপালন দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলায় প্রায় সাড়ে ন’শো হেক্টর সুপারি বাগান রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ১৮০ হেক্টরের মতো সুপারি বাগানে কম-বেশি গোলমরিচ চাষ হয়। ফলে বাকি সুপারি বাগানকে কাজে লাগিয়ে গোলমরিচ চাষ করে লাভবান হতে পারবেন কৃষকরা। শুধু সুপারি নয়, নারকেল বাগান কিংবা চা বাগানের শেড ট্রিতেও ভালোভাবে গোলমরিচ চাষ করা যেতে পারে। বিনামূল্যে চারা দেওয়ার পাশাপাশি কীভাবে গোলমরিচ চাষ করতে হয়, তার উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন উদ্যানপালন বিশেষজ্ঞরা। এমনকী গোলমরিচ চাষে উৎসাহীদের জন্য হেক্টর প্রতি ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভর্তুকির ব্যবস্থা রয়েছে।


    জেলার সহ উদ্যানপালন অধিকর্তা খুরশিদ আলম বলেন, মূলত দক্ষিণ ভারতে গোলমরিচের বেশি চাষ হয়। উৎপাদিত গোলমরিচ বিদেশে রপ্তানি করে মোটা টাকা ঘরে তোলেন কেরল, তামিলনাড়ুর চাষিরা। জলপাইগুড়িতেও প্রচুর সুপারি বাগান, চা বাগানে শেড ট্রি রয়েছে। এসব গাছকে অবলম্বন করে অনায়াসেই গোলমরিচ চাষ হতে পারে। সেক্ষেত্রে জলপাইগুড়ির চাষিরাও বাড়তি আয়ের পথ খুঁজে পাবেন। এই লক্ষ্যেই আমরা গোলমরিচের উন্নতমানের এক লক্ষ চারা বিনামূল্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। উৎসাহীরা উদ্যানপালন দপ্তর কিংবা বিডিও অফিসে যোগাযোগ করলেই ওই চারা পাবেন। উদ্যানপালন আধিকারিকরা জানিয়েছেন, চারা লাগানোর তিন বছর পর থেকে গোলমরিচ মিলতে শুরু করবে। চাষে ঝক্কিও নেই বললেই চলে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)